কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র প্রাণীপ্রেমী, এটা কম-বেশি অনেকেই জানেন। শ্রীলেখা কুকুর পোষেন, সেই কুক্র নিয়ে প্রতিবেশির সঙ্গে কী ঝগড়াই না হয়েছিল। বাধ্য হয়ে লাইভে এসে প্রতিকার চেয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
নিজে যেমন পোষেন তেমনি রাস্তার কুকুরকেও ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করেন না শ্রীলেখা।
পরম আদরে কাছে টেনে নেন। প্রাণির প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি মাংস খান না। এমনকি মহামারীর সময়ে খাবারের অভাবে রাস্তার কুকুরদের জন্য তার সহায়তা কিংবা উদ্যোগও ছিলো বেশ প্রশংসনীয়। গত এক বছরে তিনি এক টুকরো মাংসও মুখে তোলেননি। এজন্য কোরবানি নিয়েও রয়েছে তার আপত্তি।
ঈদের দিন মুসলিম উম্মাহর প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে ব্র্যাকেটে বলে দিয়েছেন কোরবানি ছাড়াই। ঈদের দিন ফেসবুকে শ্রীলেখা লেখেন, ‘ঈদ মোবারক (কোরবানি ছাড়া)। হাসছো ভালো, হাসলে শরীর-মন ভালো থাকে। হেসে নিয়ে পরে একটু ভেবে দেখো। ’
শ্রীলেখা মিত্রর আফসোস ‘এই সমাজে বোধহয় আমি বা আমার মতো মানুষ থাকার যোগ্য নই’। ‘ঠোঁটকাটা ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে পরিচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। নিজের ক্ষতি হলেও উচিত কথায় ছাড় না দেন না ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র এই নায়িকা! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া তার বিভিন্ন পোস্ট ঘিরে হরহামেশায় তৈরি হয় বিতর্ক।
কুকুর ‘আদর মিত্র’র সঙ্গে দুটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, ‘যতো বেশি মানুষদের দেখি, ততো বেশি ভালোবেসে ফেলি আমার কুকুরদের’। এরপরেই নেটিজেনদের একাংশের সমালোচনার শিকার হন শ্রীলেখা। তার লেখা ‘মেন’ (men) শব্দটির ভুল অর্থ করে অনেকেই লেখেন, ‘পুরুষদের যত বেশি দেখি, তত বেশি করে ভালোবেসে ফেলি আমার কুকুরদের। ’
শ্রীলেখা ওই ফ্ল্যাটে তাঁর কাজের মাসির সঙ্গে একাই থাকেন। মেয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে। শ্রীলেখার সর্বক্ষণের সঙ্গী বলতে তাঁর চারপেয়ে সন্তানরা।