উইন্ডিজে দীর্ঘ ৩৭ বছরের দুঃখ ঘোঁচাল নিউজিল্যান্ড। তিন যুগ পর ক্যারিবীয়দের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসল কিউয়িরা। সর্বশেষ ১৯৮৫ সালে ক্যারিবীয়দের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড।
কিন্তু এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজটাও ২-১ ব্যবধানে জিতে ইতিহাস গড়ল টম ল্যাথামের দল।
সোমবার (২২ আগস্ট) দুই দলের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া পাহাড়সম ৩০২ রানের লক্ষ্যটা ৫ উইকেট ও ১৭ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দুই দলই একটি করে জয় পাওয়ায় তৃতীয় এ ম্যাচটি রূপ নেয় ফাইনালে। যেখানে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। যদিও ওপেনিং জুটিতে ১৭৩ রান তুলে ভিন্ন ইঙ্গিত দেয় ক্যারিবীয়রা।
তবে এরপর মাত্র ১৮ রানে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে নেয় সফরকারীরা, আর বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও ফার্গুসনের কাছে পরাস্ত হওয়ার আগে নিজের শতক তুলে নেন কাইল মায়ার্স। ১২ চার আর তিন ছয়ে ১০৫ রান করে ফেরেন এই টপঅর্ডার।
এরপরও বিপদে পড়া নিজ দলকে রক্ষা করে বড় সংগ্রহ এনে দেন নিকোলাস পুরান। যদিও নার্ভাস নাইনটিতে আউট হন অধিনায়ক। পুরানের ৫৫ বলে ৯১ এবং শেষ ৬ বলে জোসেপের অপরাজিত ২০ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০১ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১০ ওভারে ৫৩ রানে তিনি পান ৩টি উইকেট। এছাড়াও স্যান্টনার তুলে নেন দুটি উইকেট।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই গত ম্যাচের সেরা ব্যাটার ফিন অ্যালেনকে হারায় নিউজিল্যান্ড। তবে গাপটিল (৫৭), কনওয়ে (৫৬), ল্যাথাম (৬৯) ও মিচেলের (৬৩) চার অর্ধশতকে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিউইরা।
শেষ দিকে নিশামের ১১ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কার মার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুটি করে উইকেট পান হোল্ডার ও ক্যারিয়া।
এর আগে তিন-ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি আইনে জয় পেয়েছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৫০ রানের বড় জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
আর সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয়া নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ম্যাচ সেরা হন অধিনায়ক টম ল্যাথাম এবং সিরিজ সেরা হন ৫১ রানের সঙ্গে ৪ উইকেট নেয়া মিচেল স্যান্টনার।