পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের ওপর বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) লংমার্চে গুলি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ইমরান খান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন দলের আরও কয়েক নেতা। সেইসঙ্গে দলের এক কর্মীও নিহত হয়েছেন। এই নিয়ে আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর দলটি পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেয়।
পাকিস্তানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী ইতোমধ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দলটি পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোতে প্রতিবাদে নেমেছে। করাচি, ইসলামাবাদ, লাহোর, কোয়েটা, পেশাওয়ার, মালাকান্দ, রাজানপুর, বাহাওয়ালনগর, মুজাফফারগর এবং কোয়াতসহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিক্ষোভ।
লাহোরের দলের কর্মী ও সমর্থকেরা ঠোকার নিয়াজ বেগে জড়ো হয়েছেন। সেখানে এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিনেটর এজাজ চৌধুরী। দেশটির প্রভাবশালী পত্রিকা বলছে, লাহোরে পাঞ্জাব গভর্নরের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভকারীরা একত্র হয়েছেন।
কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। কিছু বিক্ষোভকারী কার্যালয়ের ভবনে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছে এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেছে। সেখানে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া ফৈজাবাদ ইন্টারচেঞ্জ-এ বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। পিটিআই সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ করে পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করলে পুলিশ এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করাচির শারিয়া ফয়সালে বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মেট্রোপল পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে সেখানকার পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা কর্মীদের লক্ষ করে পাথর ছুড়ে।