খলিফা আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়ামে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ উপহার দিল নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর। উত্তেজনার পারদ ছড়ানো গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে পারল না কেউই। ম্যাচটি শেষ হয়েছে ১-১ গোল ব্যবধানে।
নেদারল্যান্ডস-ইকুয়েডর মধ্যকার লড়াইয়ে বল দখলে ডাচরা খানিকটা এগিয়ে থাকলেও আক্রমনের ধার বেশি ছিল লাতিন আমেরিকান দলটির। পুরো ম্যাচের ৫৫ শতাংশ সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে বল রাখতে সক্ষম হয়েছে নেদাল্যান্ডসের ফুটবলাররা। আর প্রতিপক্ষের গোলবার বরাবর শট নিতে পেরেছে মাত্র একটি। পেয়েছে একটি গোল।
অন্যদিকে পুরো ম্যাচের ৪৫ শতাংশ সময় নিজেদের কাছে বল রাখতে পেরেছে ইকুয়েডর। আর ডাচ দলের গোলবার বরাবর শট নিয়েছে মোট চারটি। এতে গোলের দেখা পেয়েছে একটি।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকা নেদারল্যান্ড এগিয়ে যায় ষষ্ঠ মিনিটেই। ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া বা পায়ের শটে দলকে লিড নেন গাকপো। আর এর মধ্য দিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম গোল করার রেকর্ড করেন এই তারকা ফুটবলার।
ম্যাচের ৩২ মিনিটে আগের ম্যাচের জোড়া গোল করা ভ্যালেন্সিয়ার শট দুর্দান্তভাবে রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক নোপার্ট। আর প্রথমার্ধ শেষের ১ মিনিটে আগে ইকুয়েডরের এস্তোপিনান গোল করলেও সেটি অফসাইডের কারণে বাতিল। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় নেদারল্যান্ডস।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় পিছিয়ে থাকা ইকুয়েডর সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। করতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে পারভিস ইস্তাপিনানের নেয়া শট ডাচ গোলকিপার রুখে দিলে বল পেয়ে যান এনার ভ্যালেন্সিয়া। ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন দলীয় এই তারকা ফুটবলার। ৭৩তম মিনিটে লিড নিতে পারত ইকুয়েডর। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মোসেস সাইসেডের নেয়া দুর্দান্ত এক শড সোজা গোলবারের ডানপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফলে ব্যবধান ২-১ করতে পারেনি দক্ষিন আমেরিকান দলটি। এরপর আর গোলও হয়নি। ফলে ম্যাচটি শেষ হয় ১-১ গোল ব্যবধানেই।