হুল প্রত্যাশিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে টোল পরিশোধের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনের পর সেখানে মোনাজাতে অংশ নেন সরকার প্রধান। পরে গাড়িবহর নিয়ে সেতুর উপর দিয়ে মাওয়া পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টের উদ্দেশে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রওনা হয়ে ঠিক ১০টায় মাওয়ায় আয়োজিত সুধী সমাবেশের মঞ্চে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে সাজানো হয়েছে অসংখ্য ব্যানার-ফেস্টুনে। মাওয়ায় যে সুধী সমাবেশ হয়েছে, তা মূলত রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। আর নদীর ওপারে যে বিশাল জনসভার আয়োজন হয়েছে, তা হবে দলীয় উদযাপন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর অংশ দৃশ্যমান হয়। পরে একের পর এক ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হয় ৪১টি স্প্যান। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ ৪১তম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে বহুমুখী ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ কাঠামো দৃশ্যমান হয়।
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এ সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। গুরুত্বপূর্ণ এ সেতু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বড় শহরের সাথে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করবে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ থেকে শুরু করে নানা কারণে ব্যাপক আলোচিত এ সেতু বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের মধ্যে দিয়ে আজ বাস্তবায়ন হলো।