শত্রুর যে কোনো উসকানির জবাব দিতে সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সীমান্তে শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী এবং নতুন অস্ত্র মোতায়েনের অঙ্গীকার করার পর শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাকে তিনি এ কথা বলেন। উত্তর কোরিয়া গত মাসে একটি গোয়েন্দা উপগ্রহ উেক্ষপণের পর থেকেই কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনা বেড়েছে। উপগ্রহ উেক্ষপণকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের আন্তঃকোরীয় সামরিক চুক্তির একটি মূলধারা স্থগিত করে দক্ষিণ কোরিয়া। এরপর উত্তর কোরিয়াও ঘোষণা করে, তারাও আর চুক্তিটি মেনে চলতে বাধ্য নয়।
গত বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার বিমানবাহিনীর কমান্ড শাখা পরিদর্শন করে কিম সেনাবাহিনীর রণকৌশল উন্নত করা এবং পুরোদস্তুর যুদ্ধে লড়ার ক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। শত্রুর যে কোনো সামরিক উসকানি ও হুমকি শক্তভাবে মোকাবিলা করতে আভিযানিক ও কৌশলগত নীতিও নির্ধারণ করেছেন কিম। যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আকাশ অভিযান পরিচালনা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকায় বিমানবাহিনীর প্রশংসা করেন তিনি।
গোয়েন্দা উপগ্রহ উেক্ষপণ করায় উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাব এতে লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তারা। তবে উত্তর কোরিয়া এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, আত্মরক্ষার অধিকারে তারা এমন আরো উপগ্রহ উেক্ষপণ করবে।
বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়াও উত্তর কোরিয়ার ১১ জন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। বাড়তে থাকা উত্তেজনার প্রতিফলন ঘটিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া দুই দেশের মধ্যকার অসামরিক এলাকায় (ডিএমজে) সফর বন্ধ করেছে বলে জানিয়েছেন সিউলের কর্মকর্তারা।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আন্তঃকোরীয় সামরিক চুক্তি থেকে উত্তর কোরিয়া সরে আসার পর অসামরিক এলাকার (ডিএমজেড) ভেতরে যৌথ নিরাপত্তা এলাকায় ফের আগ্নেয়াস্ত্র বহন শুরু করেছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা। গত জুলাইয়ে উত্তর কোরিয়ায় এক মার্কিন সেনার অনুপ্রবেশের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ডিএমজেড সফর। এরপর গত সপ্তাহে তা আবার শুরুও হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক উত্তেজনায় ফের এ সফর বন্ধ হয়ে গেছে।