বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-২০ এবং ওয়ানডে দলে খুব বেশি পরিবর্তন নেই। কিন্তু সাদা বলে ফরম্যাট দীর্ঘ হতেই দু’দলের চেহারা ভিন্ন। টি-২০ তে ধবলধোলাই হওয়া বাংলাদেশ পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে চালকের আসনে। দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৮ রানে অলআউট করে অর্ধেক সিরিজ সফরকারীদের হাতে।।
গায়ানায় দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের আগে বৃষ্টি হয়নি। উইকেট আরও ভেঙেছে। স্পিন সহায়ক উইকেটে টস জিতলে বোলিং ছিল অনুমিত সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম সেটাই করেন। পূর্ণ ম্যাচ দেখার প্রত্যাশা নিয়ে গ্যালারি কিংবা টিভির সামনে বসা ভক্তদের হতাশ করে ৩৫ ওভারেই স্বাগতিকদের প্যাকেট করেন মিরাজ-নাসুমরা।
অথচ শুরুটা সাবধানী হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১১তম ওভারে তারা হারায় প্রথম উইকেট। কাইল মেয়ার্স ও শেই হোপের ওপেনিং জুটি যোগ করেছিল ২৭ রান। এরপরই ধস। দলীয় ফিফটির আগে পঞ্চম উইকেট হারানো দলটি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
মেয়ার্স ১৭ রানে মোসাদ্দেকের বলে ফিরে যাওয়ার পর তিন উইকেট তুলে নেন দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। একে একে ফেরান সামারাহ ব্রুক (৫),শেই হোপ (১৮) এবং নিকোলাস পুরানকে (শূন্য)। পঞ্চম উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। ফেরান রোভম্যান পাওয়েলকে (১৩)। পেসারদের সাফল্য ওই একটিই।
ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফিরে যান আকিল হোসাইন। তিনি মুস্তাফিজের দারুণ এক থ্রোতে রান আউটের শিকার হন। পরের চার সাফল্য স্পিনার মেহেদি মিরাজের। ওয়ানডে বোলিং র্যাংকিংয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা এই ডানহাতি ঘূর্ণির জাদুকর ব্রেন্ডন কিংকে (১১) বোল্ড করেন। একই নিয়তি উপহার দেন রোমারিও সেইফার্ডকে। পরে তুলে নেন টেলেন্ডার আলজারি জোসেপ ও গুডাকেশ মতিকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন পেস অলরাউন্ডার কোমো পল।