ছেলেকে উৎসাহ দিতে নিজে বই পড়া শুরু করেছিলেন বিন্দু। এক পর্যায়ে নিজের জন্য সরকারি চাকরির প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি। সঙ্গে পড়াশোনায় মন ফেরে ছেলেরও। এভাবে কেটে গেছে ৯ বছর। এবার তারা দুজনেই একসঙ্গে সরকারি চাকরিতে যোগদান করতে চলেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেরালারা পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) পরীক্ষায় ৪২ বছর বয়সী বিন্দু লাস্ট গ্রেড সার্ভেন্ট পদে উত্তীর্ণ হয়েছেন। অন্যদিকে তার ২৪ বছর বয়সী ছেলে লোয়াল ডিভিশনাল ক্লার্ক পদে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিন্দু বলেন, ছেলেকে উৎসাহ দিতে পড়া শুরু করেন তিনি। এরপর ভর্তি হন একটি কোচিং সেন্টারে। স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার পর ছেলেকেও ওই কোচিং সেন্টারে ভর্তি করেন তিনি।
গত ১০ বছর ধরে গ্রামাঞ্চলের শিশুদের পড়াতেন বিন্দু। তিনি বলেন, কোচিং সেন্টারে তার শিক্ষকেরা, তার বন্ধুরা এবং তার ছেলের উৎসাহে তিনি পিএসসি পরীক্ষায় পাস করার জন্য বারবার চেষ্টা করেছিল। তিনবারের চেষ্টার চাকরির সোনার হরিণ মেলে তার।
অবশ্য মায়ের সঙ্গে পড়াশুনা না করলেও নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতেন বলে জানিয়েছেন বিন্দুর ছেলে।