নিজেদের মোট কর্মী সংখ্যার ৫ শতাংশ বা ১১ হাজার জনকে একদিনে ছাঁটাই করতে চলেছে মাইক্রোসফট। প্রসঙ্গত, গতবছরও বহু কর্মীকে ছাঁটাই করেছিল মাইক্রোসফট আর এবার বছরের শুরুতেই ছাঁটাই শুরু করতে চলেছে মাইক্রোসফট। জানা গেছে যে, হিউম্যান রিসোর্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ছাঁটাই করতে চলেছে সংস্থা।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের ‘যথেচ্ছ’ ছুটি দেয়ার ঘোষণা করেছিল মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফটের চিফ পিপল অফিসার ক্যাথলিন হোগান এক ইমেলের মাধ্যমে কর্মীদের এই বিষয়ে জানিয়েছিলেন। সেই ইমেল বার্তায় বলা হয়েছিল, ‘ডিসক্রিশনারি টাইম অফ’-এর অধীনে কর্মীরা যতদিন চান ছুটি নিতে পারেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাইক্রোসফটের বেতনভোগী প্রত্যেক কর্মীই এই সুবিধা পাবেন।
অফিস মেমোরেন্ডামে বলা হয়েছে, ‘আমাদের কাজের পদ্ধতি, স্থান অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছুটির নিয়মকেও আরও নমনীয় এবং আধুনিক করে তোলা হয়েছে। গত বছর থেকেই মাইক্রোসফট আরও বেশি সংখ্যক কর্মীকে পাকাপাকিভাবে ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম করার সুযোগ দিতে শুরু করেছে।’ তবে এই সুযোগের ঘোষণার মাঝেই হাজার হাজার কর্মীর রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট।
এর আগে আমেরিকার ওয়াশিংটন প্রদেশে সিয়াটেলের বেলভিউতে অবস্থিত নিজেদের অফিস ফাঁকা করার ঘোষণা করেছিল মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জুন মাসে বেলভিউয়ের ২৬ তলা সিটি সেন্টার প্লাজাতে তাদের লিজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তা আর পুনর্নবীকরণ করা হবে না। বিশ্বের অন্যতম বড় সংস্থা মাইক্রোসফটের তরফে গত বছরও হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছিল।
বিশ্বজুড়ে মাইক্রোসফটের মোট কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজারের কাছাকাছি। তাদের মধ্যে গতবছর ১ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করে সংস্থা। মন্দার আশঙ্কার জেরেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। ফের এই বছর একই পথে হাঁটতে চলেছে মার্কিন সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমে যাওয়ার জেরে সংস্থার আয়ে কোপ বসেছে। এই আবহে মাইক্রোসফটকে কঠোর পদক্ষেপ করতে হল।