সোমবার একজন রুশ কূটনীতিকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, মস্কো এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের সাথে খোলাখুলি দ্বন্দ্বে থাকায় পশ্চিমকে নিবৃত্ত করতে রাশিয়াকে তার সম্পূর্ণ ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্রাগার বাড়াতে হবে।
রাশিয়ান এবং মার্কিন কূটনীতিকদের মতে, রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের ২০২২ সালের ইউক্রেনে আক্রমণ ১৯৬২ কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর রাশিয়া ও পশ্চিমের মধ্যে সম্পর্কের সবচেয়ে খারাপ ভাঙ্গনকে স্পর্শ করেছে।
রাশিয়া অস্ত্র উৎপাদন বাড়িয়েছে এবং এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বছর ন্যাটোর ৩২ সদস্যের মিলিত সব থেকে বেশি কামান তৈরি করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত-অ্যাট-লার্জ গ্রিগরি মাশকভ রাষ্ট্রীয় আরআইএ সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “আমরা এখন প্রকাশ্য সংঘাতের পর্যায়ে আছি, যা আমি আশা করি, সরাসরি সশস্ত্র সংঘাতে পরিণত হবে না।”
তদনুসারে, মাশকভ বলেছেন, রাশিয়ার শক্তি পরীক্ষা থেকে যেকোনো সম্ভাব্য শত্রুকে নিরুৎসাহিত করার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্রাগার গড়ে তোলা সহ দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদার করার জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
মাশকভ বলেছিলেন রাশিয়া ইতিমধ্যেই এই এলাকায় অনেক কিছু করছে তবে তিনি যা বলেছিলেন তা পশ্চিমের ক্রমবর্ধমান হুমকি এবং কৌশলগত আন্তঃমহাদেশীয় পর্যন্ত বেশিরভাগ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে আরও কিছু প্রয়োজন ছিল।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে, রাশিয়া ২০২৪ সালে সামরিক খাতে তার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৭.১% বা মোট সরকারি ব্যয়ের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ব্যয় করবে।