গত ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার কৈলাশহরে বাংলাদেশী ইলিশ মাছ রপ্তানি শুরু হয়। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শেষ দিনে ত্রিপুরার কৈলাশহর গেল ১৫ হাজার ৫০ কেজি ইলিশ। এক মাসে এ পথে ত্রিপুরার কৈলাশহরে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ৩৮ হাজার ৭৪৫ কেজি ইলিশ।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ও ভারতের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক মাসের জন্য ভারতে বাংলাদেশী ইলিশ রপ্তানির সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। সে হিসেবে গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার উনকোটি জেলার কৈলাশহরে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা ইলিশ মাছ রপ্তানি শুরু হয়।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন এলাকায় গেলে দেখা যায়, নড়াইল জেলার আরিফ সি ফুডের মাধ্যমে ৯ হাজার ৫০ কেজি ইলিশ রপ্তানি করো হচ্ছে। একই সাথে আজ জারা এন্টারপ্রাইজ ৬ হাজার কেজি ইলিশ রপ্তানি করছেন। এ দুইজনে মিলে শুক্রবার ১৫ হাজার ৫০ কেজি ইলিশ রপ্তানি করলেন।
বাংলাদেশী আমদানি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জারা এন্টারপ্রাইজের মালিখ মশিক মোল্লা, নড়াইলের আরিফ সি ফুডের মালিক আরিফ হোসেন ও ঢাকার বিডিএস কর্পোরেশনের প্রতিনিধি সোহেল চৌধুরী বলেন, এক মাসে ভারতে ইলিশ রপ্তানির সুযোগে পেয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী চলতি এক মাসে তারা প্রচুর পরিমাণে ইলিশ রপ্তানি করেছেন ত্রিপুরার কৈলাশহরে।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের সুপারেনডেনটেন্ট (সুপার) রেজাউল কবির কাজল বলেন, সরকারি নির্দেশনা মতে ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভারতে ইলিশ রপ্তানির শেষ দিন। এ শুক্রবার একদিনে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৫০ কেজি ইলশ রপ্তানি হয়েছে ভারতের কৈলাশহরে।
তিনি আরও বলেন, গত এক মাসে এ পথে ভারতের কৈলাশহরে মোট ৩৮ হাজার ৭৪৫ কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি হয়েছে। এতে সরকারের প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব আয় হয়েছে।