পাবনার সাঁথিয়ায় এনজিও ঋণের চাপে খাঁন বাহাদুর (৪২) নামে একজন গৃহকর্তা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। সে উপজলার ভিটাপাড়া গ্রামের কাশেম আলী প্রামানিকের ছেলে।
পারিবারিক ও থানা সূত্রে জানা যায়, খান বাহাদুর সন্তান,স্ত্রী ও বাবা-মাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার চালাচ্ছিল। সে পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিল। কাজকর্ম কম থাকায় এলাকার ২/৩ টি এনজিও থেকে বেশকিছু টাকা ঋণ নেয়। প্রতি সপ্তাহে কিস্তির টাকা যোগার করতে সে পড়ে মহাবিপদে। এনজিওগুলার কর্তারা সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই বাড়িতে এসে হাজির হন।
খান বাহাদুরের ছেলে ইনছান আলী জানায়, প্রতিদিন ট্রাক চালিয়ে যে পরিমাণ টাকা উপার্জন হয় তাতে কিস্তির টাকা যোগার হয় না। আমার আব্বা টাকা যোগার করতে না পারলে এনজিও কর্তারা বাড়ি থেকে যান না। তাদের নানান কথায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। বাধ্য হয়ে বাড়িতে ঠিকমত আসে না। গতকাল রবিবার সকালে বসতঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে সাঁথিয়া থানা পুলিশ গতকাল রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে দাফন করার ব্যবস্থা করা হয়।