সামনেই মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা।কিছুদিন পর সবাই ব্যস্ত হয়ে যাবেন কোরবানির পশু কিনতে। তবে এবার করোনার সংক্রমণ কম থাকায় কেউ হাট, কেউবা আবার অ্যাগ্রো ফার্মগুলোতে সরাসরি গিয়ে কোরবানির পশু কিনবেন। তবে বর্তমানে ক্রেতারা অ্যাগ্রো ফার্মগুলোর দিকেই ঝুঁকছেন বেশি।
এবারের কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকার কাসসাফ অ্যাগ্রো ফার্মে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।
ক্রেতাদের মূল আকর্ষণ ফার্মটির একটি গরুর দিকে। যে গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘পদ্মা সেতু’। আড়াই বছর বয়সী গরুটি দেশাল জাতের। গরুটির গায়ের রং লাল ও কালো মিশ্রণ। ৭ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট উচ্চতার গরুটির ওজন প্রায় ১৭ মণ। গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ৫ লাখ টাকা।
খামারের কর্মচারীরা জানান, প্রতিদিন ‘পদ্মা সেতু’র খাদ্য তালিকায় আলাদাভাবে ৪ কেজি ভুসি, ১১ কেজি সবুজ ঘাস, ৬ মুঠো খড় ইত্যাদি থাকে।
কাসসাফ এগ্রো ফার্মের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আল আমিন হোসেন রাব্বি জানান, মাত্র ২ দিন আগেই দেশের সবচেয়ে বড় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ফার্মের সবচেয়ে বড় এই গরুটির নাম রেখেছি পদ্মা সেতু। ক্রেতাদের আকৃষ্ট বাড়ানোর জন্য নামটা রাখা হলেও আমরা বেশি দাম চাইনি। সোমবার গরুটিকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্টে দেওয়ার পর থেকে ‘পদ্মা সেতু’কে দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করছে। অনেকে গরুটির ছবি তুলছে, ভিডিও করছে।
তিনি বলেন, তাদের ফার্মের কোনো গরুকে কোনো ভেজাল খাদ্য খাওয়ানো হয় না। তাদের নিজেদের জায়গায় উৎপাদন করা ঘাস, ভুট্টার গুড়া, ভুসি ইত্যাদি খাদ্য খাওয়ানো হয়।
তিনি আরও বলেন, এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য দুইশ’র বেশি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব গরু দেড় লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার বলেন, এবার নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি হাটে আমাদের ভেটেরিনারি টিম থাকবে। কোনো হাটে ইন্ডিয়ান গরু যেন না আসতে পারে সেদিকে আমরা সজাগ রয়েছি। কোরবানির জন্য এবার পর্যাপ্ত পরিমাণে কোরবানির পশু রয়েছে। এছাড়া অ্যাগ্রো ফার্মগুলোর পশু বিক্রির ক্ষেত্রে তাদের যা সহায়তা দরকার তা আমরা করছি।