কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে লাঞ্ছিত করেছেন, এমন অভিযোগে মানববন্ধন করা হয়েছে জেলার দাউদকান্দিতে। বুধবার দুপুরে দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন এই ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। এ সময় আজাদকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।
এর আগে আবুল কালাম আজাদকে কিল-ঘুষি মারার প্রতিবাদে দেবীদ্বারের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন চেয়ারম্যানের সমর্থকরা।বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া বাজার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তাঁরা। এ সময় এমপির বিচার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন তাঁরা। সংসদ সদস্য রাজি মোহাম্মদ ফখরুলের ঘনিষ্ঠরা দাউদকান্দিতে এই পাল্টা কর্মসূচি পালন করেছেন বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান আজাদের অনুসারীরা।
দাউদকান্দিতে অনুষ্ঠিত মানববন্দনে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম নয়ন, কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রকিবউদ্দীন রকিব, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেবুন্নেসা জেবু, সাধারণ সম্পাদক লায়লা হাসান, উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি মো. সোহেল রানা প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ১৬ জুলাই বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রুহুল আমিনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। রুহুল আমিন আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী নেতা। এ জন্য আমরা কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে আবুল কালাম আজাদকে দ্রুত বহিষ্কারের দাবি করছি। পাশাপাশি তাঁর বিচার দাবি করছি।
প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে দেবীদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার একপর্যায়ে সংসদ সদস্য রাজি মোহাম্মদ ফখরুল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে কিল-ঘুষি মারেন। জবাবে চেয়ারম্যানও এমপির ওপর চড়াও হন।