কাতারের রাজধানী দোহায় পাঁচ দিনব্যাপী (৫-৯ মার্চ) অনুষ্ঠিত হলো জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম সম্মেলন (এলডিসি-৫)। স্বল্পোন্নত দেশের সম্ভাবনাকে সমৃদ্ধিতে রূপদানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা তুলে ধরতে সম্মেলনে যোগদান করেন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস, ইউএনজিএ প্রেসিডেন্ট সাবা করোসি, ইউএনডিপি প্রশাসক আচিম স্টেইনারের মতো অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব। সম্মেলনে যোগদান করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এলডিসি-৫ সম্মেলনে যোগদান তথা দোহা সফর বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ এই অর্থে যে, এর মধ্য দিয়ে বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে বাংলাদেশ আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল। একই সঙ্গে কাতারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রেও উন্মোচিত হলো নতুন দিগন্ত। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর এলডিসি সম্মেলনে যোগদান বাংলাদেশের বহুপাক্ষিক ও দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল বয়ে এনেছে।
বিশ্বের ৪৬টি দেশের প্রায় ১১০ কোটি মানুষ এলডিসির অন্তর্ভুক্ত, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ। যাদের ৭৫ শতাংশই দারিদ্র্য অথবা চরম দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন যাপন করে থাকে। এই বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর জন্য অন্যতম প্ল্যাটফরম হচ্ছে ‘এলডিসি সম্মেলন’। প্রতি ১০ বছর অন্তর আয়োজিত এ সম্মেলন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের স্বল্পোন্নত দেশকে বিভিন্ন বিষয়ে দাবিদাওয়া উত্থাপনের উপলক্ষ এনে দেয়। করোনা মহামারির কারণে দুই বার সম্মেলনের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত সম্মেলনের আয়োজন করা গেছে। এবারের সম্মেলন নিয়ে প্রথমেই বলতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উচ্চারণের কথা। কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়, সম্মেলনে শেখ হাসিনা যে বক্তব্য রেখেছেন, তা প্রকৃত অর্থেই বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির দর্পণ। বক্তব্যে তিনি সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন চমৎকারভাবে। বাংলাদেশ বরাবরই এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে আখ্যায়িত। ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উত্তরণ ঘটতে চলেছে বাংলাদেশের। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এবারের সম্মেলনে ঘুরেফিরে এসেছে বাংলাদেশের নাম। আমরা দেখেছি, কোভিড মহামারির পর বিশ্ব যখন একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল, ঠিক সেই সময় শুরু হলো অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ! গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যে যুদ্ধ চলছে, তার অভিঘাতে একধরনের অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। বিভিন্ন শক্তির মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা, বৈরিতা। মাথাচাড়া দিয়েছে ভূরাজনৈতিক নানা জটিল হিসাবনিকাশ। দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, বেড়েছে স্থবিরতা। ঠিক এমন একটি মুহূর্তে এলডিসি সম্মেলনের সফল আয়োজন এবং সে সম্মেলনমঞ্চে এলডিসির স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় তুলে ধরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন, তা নিঃসন্দেহে উচ্চ প্রশংসার দাবি রাখে। একই সঙ্গে সময়োপযোগী বক্তৃতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে তিনি বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেছেন নতুন আঙ্গিকে। বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অর্জন, তা তুলে ধরার মাধ্যমে তিনি এলডিসি-উত্তরণের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন দেশকে।
বাংলাদেশের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে দেখলে এলডিসি-৫ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলেছেন ‘রোহিঙ্গা সমস্যা’ নিয়ে, এ রকম একটা প্ল্যাটফরমে এ ধরনের ইস্যু নিয়ে কথা বলা স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু সম্মেলনমঞ্চের বক্তৃতাই নয়, আলজাজিরার সঙ্গে সাক্ষাৎকারেও প্রধানমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে কথা বলতে শুনেছি আমরা। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে আমরা তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান ছাড়াই কাজ করছি।’ বাস্তবিক অর্থে, রোহিঙ্গা সমস্যা দিনে দিনে কঠিনতর সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতিশ্রুত সাহায্যের পরিমাণ ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের যে সম্ভাবনা তা-ও ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে। এমনকি এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতাও যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে না। এসব বিষয় অত্যন্ত চমৎকারভাবে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পরিষ্কারভাবে বলেছেন, সারা পৃথিবীর দৃষ্টি এখন ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে বসা রোহিঙ্গা সমস্যা আড়ালে পড়ে যাচ্ছে! সমাধানের রাস্তা ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে আসছে। বস্তুত, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বাংলাদেশ, পরবর্তীকালে বিশ্বনেতৃত্ব তার সমাধানে কাঙ্ক্ষিত উদ্যোগ গ্রহণ করেনি— বাস্তবতা এটাই! বলা আবশ্যক, এ ধরনের বড় প্ল্যাটফরমে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরাটা অত্যন্ত জরুরি ছিল বাংলাদেশের জন্য।
উল্লেখ করার বিষয়, সম্মেলনে বাংলাদেশ শুধু নিজের কথাই বলেনি, বলেছে প্রতিটি স্বল্পোন্নত দেশের কথা। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বিশ্বে উত্তরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত অভিজ্ঞতার নিরিখে অন্যান্য এলডিসি দেশগুলো কীভাবে অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারে, সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও জ্ঞানের প্রয়োজন।’ দেশগুলোকে টেনে তুলতে উন্নত বিশ্বের করণীয় সম্পর্কেও আলোকপাত করেছেন শেখ হাসিনা। বরং এক্ষেত্রে তার মুখ থেকে শোনা গেছে সাহসী উচ্চারণ—‘স্বল্পোন্নত দেশগুলো দান-খয়রাত চায় না; তারা যা চায় তা হলো, আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির অধীনে তাদের পাওনা।’ সত্যি বলতে, হাইলেভেল সংলাপে এ ধরনের সাহসী উচ্চারণের প্রশংসা করতেই হয়। এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার, চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাপে আছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশ। দেশে দেশে উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। কিছু দেশের অবস্থা বেশ করুণ। এমন একটি অবস্থায়, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো যুক্তিসংগতভাবেই সাহায্য পাওয়ার দাবি রাখে। এক্ষেত্রে ভুক্তভোগী দেশগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী যে ‘স্টিমুলাস প্যাকেজ’-এর দাবি জানিয়েছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তা খুবই প্রাসঙ্গিক।
জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব নিয়ে সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃত্বের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নকে গ্রহণযোগ্য ও নিয়মিত করতে হবে।’ বর্তমান বিশ্বের তরুণ সমাজের কথাও তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ২২ কোটি ৬০ লাখ তরুণকে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।’ এক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধির স্বার্থে ‘ইনসেনটিভ’ চালুর বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রবাসী শ্রমিকদের প্রসঙ্গও তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ‘অভিবাসী শ্রমিকদের তাদের অধিকার ও কল্যাণের জন্য সুরক্ষা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী আরেকটি বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন— ‘সাউথ সাউথ কো অপারেশন’। মনে রাখতে হবে, আজকের দিনে এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। বর্তমানে বিভিন্ন দেশ যেভাবে কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে কিংবা বিভিন্ন দেশ উন্নতি ও সমৃদ্ধি অর্জনের যে স্বপ্ন দেখছে, তাতে করে ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা’র কোনো বিকল্প নেই। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে হয়, এলডিসি কিংবা উন্নয়নশীল দেশগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঋণের চাপের সম্মুখীন। চলমান বৈশ্বিক সংকটকালে এসব দেশের ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসা উচিত উন্নত দেশগুলোর। শুধু ঋণ নয়, আন্তর্জাতিক বাজারব্যবস্থায় স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবেশ ও অংশগ্রহণও সহজসাধ্য করা দরকার। এসব বিষয় গুরুত্ব সহকারে উত্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করেছেন, ‘বৈশ্বিক বাণিজ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অংশ দ্বিগুণ করার জন্য টেকসই সহায়তা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ঋণের স্থায়িত্বকে সমর্থন করার উপায় রয়েছে।
আজকের বিশ্বে এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘জ্বালানি সক্ষমতা’। প্রায় প্রতিটি দেশ কমবেশি জ্বালানির সমস্যায় ভুগছে। আর এর প্রভাবে ভোগান্তির বেড়াজাল ক্রমাগতভাবে ঘিরে ধরছে দেশগুলোকে। প্রধানমন্ত্রী এ সমস্যার সমাধানে বিশ্বনেতৃত্বের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘কোভিড মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। এর ফলে অধিকাংশ দেশে মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে জলবায়ুসংকট এবং কিছু স্বল্পোন্নত দেশে দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্ব। এসব বিষয়ে উন্নত বিশ্বের অনেক কিছু করার আছে।
বাস্তবতা হলো, বিশ্বে বর্তমানে নানা অস্থিরতা চলছে। স্থবিরতা দেখা দিয়েছে গ্লোবাল সাউথেও। বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন দেশে ভেতরে ভেতরে যে উত্তাপ বয়ে যাচ্ছে, তার অভিঘাত আছড়ে পড়ছে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে। এহেন পরিস্থিতিতে বিশেষত স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্থা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। ঠিক এমন একটি অবস্থায় এলডিসি সম্মেলনের মতো একটি হাইলেভেল সংলাপে এলডিসির মুখপাত্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাহসী উচ্চারণ দেশগুলোর জন্য স্বস্তি এনে দেবে। ‘স্ট্রাকচারাল চেঞ্জ’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন, আজকের বিশ্বে তা যে কতখানি গুরুত্ব বহন করে, তা অনেকের জানা। বর্তমান সময়ের কথাই বলি কিংবা নিরাপদ-নিশ্চিত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের প্রসঙ্গই ধরি, অবকাঠামোগত বিষয়াবলী থেকে শুরু করে জলবায়ু, তরুণ সমাজ, অভিবাসী, বিশ্ববাণিজ্য-উৎপাদন, জ্বালানি, ঋণ পরিশোধে সহায়তা প্রভৃতি প্রতিটি বিষয়ে বিশ্বনেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য তাকে সাধুবাদ জানতেই হয়। এসব জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কথা বলে তিনি সবার নজর কেড়েছেন—এ কথা বলাই বাহুল্য।
প্রকৃতপক্ষে বৈশ্বিক অর্থনীতির ধাক্কা, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ, সংক্রামক রোগের বিস্তার, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রভৃতি নানা কারণে স্বল্পোন্নত দেশের অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক অবস্থা সব সময়েই টালমাটাল থাকে, বর্তমান বাস্তবতায় যা বহুগুণ বেশি। এসব সংকটের উত্তরণ ঘটাতে না পারলে আগামী দিনগুলোতে সীমাহীন বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে বিশ্বের স্বল্পোন্নত ব্লক। এ বিষয়গুলো সামনে এনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কাঠামোগত রূপান্তরের অঙ্গীকার পূরণ ও নবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দৃঢ়চিত্তে। তিনি সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, লিঙ্গসমতা, প্রাইভেট সেক্টরকে শক্তিশালীকরণ, কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, ক্ষুধা ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের মতো বিষয়গুলোর উল্লেখও বাদ রাখেননি।
বাংলাদেশের দিক থেকে বিবেচনা করলে, প্রধানমন্ত্রীর দোহা সফর অত্যন্ত গুরুত্ববহ। বিশেষ করে, এর মধ্য দিয়ে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বেশি মজবুত হলো। আমরা জানি, সম্প্রতি দোহা-ঢাকার মধ্যে উচ্চপর্যায়ে কথাবার্তা হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় এলডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরব উপস্থিতি কাতার-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এলএনজি জ্বালানি, বিনিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে লেনদেনের পরিবেশ তৈরি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। চলমান বৈশ্বিক ক্রান্তিকালে এলডিসি মঞ্চে ‘বাংলাদেশের হাইলেভেল ডায়ালগ’ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিচারে উচ্চ প্রশংসার দাবি রাখে।