এশিয়াপোস্ট নিউজ এশিয়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক ল্যান্ডস্কেপ কভার করা একটি ব্লগ সাইট, বাংলাদেশের অন্তবর্তিকালীন সরকারের প্রেসসচিব উপদেষ্টা এবং সমন্বয়কদের আর্থিক কেলেংকারী নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরী করেছে। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অধ্যাপক ইউনূসের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রেস সেক্রেটারি এবং শীর্ষ উপদেষ্টারা এবং স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন (এসএডি) এর দুই নেতৃস্থানীয় সমন্বয়কারীর সাথে অফিসে বসার মাত্র সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিটকয়েন সংগ্রহ করেছেন।
এই প্রকাশনা গুলি সাধারণ মানুষের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে যে, যারা একসময় ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর দাবি করেছিলেন তারাই এখন অনিয়ন্ত্রিত দুর্নীতিতে জড়িত হতে পারে, যখন বাংলাদেশ তার ইতিহাসের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং সময়ের মুখোমুখি হচ্ছে।
২৫ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে এশিয়াপোস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দাবি করে যে, ড. ইউনুসের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম, উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া এবং সমন্বয়কারী সারজিস আলম ও খান তালাত মাহমুদ রাফি তাদের বিনান্স অ্যাকাউন্টে মিলিয়ন মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্রিপ্টোকারেন্সি পেয়েছেন, যা একটি শীর্ষস্থানীয় কারেন্সি এক্সচেঞ্জ। এশিয়াপোস্ট তার প্রকাশকে প্রমাণ করার জন্য তাদের অ্যাকাউন্টের প্রাপ্ত স্পষ্ট স্ক্রিনশটও প্রকাশ করেছে।
এরকম একটি স্ক্রিনশট দেখায় যে প্রেস সেক্রেটারী শফিকুল আলম একটি আশ্চর্যজনক ৯৩.০৬ BTC (বিটিসি) জমা করেছেন, যা প্রায় $১০ মিলিয়ন ইউএসডলার বা ১০০ কোটি বাংলাদেশী টাকার এর সমপরিমান। একইভাবে, নাহিদ ইসলাম ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একজন উপদেষ্টা, ২০৪.৬৪ BTC এর Binance ব্যালেন্স ধারণ করেছেন, যা ২২০ কোটি বাংলাদেশী টাকা (প্রায় ১৯ মিলিয়ন ইউএসডলার) এর চেয়ে বেশি। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া ১১৩ বিটিসি সংগ্রহ করেছেন বলে মনে হচ্ছে, যা প্রায় ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমান।
এই উদ্ঘাটিত কেলেঙ্কারিতে সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যক্তি হলেন সারজিস আলম যিনি কোনো সরকারি পদে অধিষ্ঠিত নন বা আয়ের কোনো দৃশ্যমান উৎস নেই, তবুও তিনি ৭.৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জমা করেছেন বলে জানা গেছে। সারজিস আলমের মতো খান তালাত মাহমুদ রাফি, যিনি কোনো সরকারি পদে নেই, অভিযোগ করা হয়েছে ১১.০৯ বিটিসি জমা করেছেন, যা একজন সাধারণ বাংলাদেশি ছাত্র নেতার জন্য বিস্ময়কর পরিমাণ।
এই প্রতিবেদনটি ইউনূস সরকারের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা হিসাবে এসেছে, যিনি দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার জন্য ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছেন যখন জাতি ব্যাপক দুর্নীতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সহ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম: ৯৩.০৬ BTC বাংলাদেশী টাকা ($১০ মিলিয়ন USD ইউএস ডলার বা ১০০ কোটি BDT বাংলাদেশী টাকা)। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম: ২০৪.৬৪ BTC ($১৯ মিলিয়ন USD ইউএসডলার বা ২২০ কোটি BD বাংলাদশী টাকা)। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া: ১১৩ BTC ($১২ মিলিয়ন USD ইউএস ডলার বা ১২০ কোটি BDT বাংলাদেশী টাকা )। সারজিস আলম: $৭.৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৮০ কোটি টাকা)। খান তালাত মাহমুদ রাফি: ১১.০৯ BTC ($১.২ মিলিয়ন USD ইউএসডলার বা ১২ কোটি BDT বাংলাদেশী টাকা)।
ইংরেজী থেকে বাংলায় ভাষান্তর - মতিয়ার চৌধুরী-লন্ডন ২৬ফেব্রুয়িারী ২০২৫।