ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন-শীলতা ও পণ্যের মানোন্নয়নে ‘কাইজেন’ বাস্তবায়নে ৬২টি প্রতিষ্ঠান এবং প্রায় ৪০০ উদ্যোক্তাকে সহায়তা করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। পাশাপাশি প্রায় ১ হাজার ২০০ উদ্যোক্তার মধ্যে ‘কাইজেন’ বাস্তবায়নে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ, আইপিই বিভাগ এবং এনপিও মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), মুহম্মদ মেসবাহুল আলম। অনুষ্ঠানে ‘এসএমই উন্নয়নে উৎপাদনশীলতা’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনপিও ঊর্ধ্বতন গবেষণা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বড় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবে এসএমই ফাউন্ডেশন। সেই সঙ্গে এসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণপত্র বা এলসি খোলার ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হবে। অনুষ্ঠানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ‘কাইজেন ক্ষুদ্র উন্নয়ন প্রকল্প’ সম্পন্নকারী এসএমই প্রতিষ্ঠানকে সনদ প্রদান করা হয় এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ‘এসএমই-তে কাইজেন’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
উল্লেখ্য, উৎপাদন-শীলতা উন্নয়নে একটি সার্বজনীন কৌশল হচ্ছে কাইজেন। কাইজেন শব্দটি দুটি জাপানি শব্দ Kai (অর্থ-‘পরিবর্তন’) এবং Zen (অর্থ-‘ভালো’) এর সংমিশ্রণে উৎপন্ন, যার অর্থ ‘ভালোর জন্য পরিবর্তন’। এটি এমন একটি অনুশীলন যা শূন্য ব্যয়ে যে কোনো কার্যক্রমের ধারাবাহিক উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করে। শিল্প, বাণিজ্য, ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, প্রশাসন, দৈনন্দিন জীবনযাপনসহ সব ক্ষেত্রেই কাইজেন অনুসরণ করা যেতে পারে। এটি বাস্তবায়নের ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও অপচয় রোধ সম্ভব। কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, হালকা প্রকৌশল, প্লাস্টিক, চামড়াজাত, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, তৈরি পোশাক ও হস্তশিল্প, পাটজাতসহ বিভিন্ন শিল্পের উদ্যোক্তা, প্রতিনিধি ও অংশীজন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা ও কলাকৌশল, বৈশ্বিক উৎপাদনশীলতা পরিস্থিতি ও করণীয় এবং এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়।