নাইজারের অভ্যুত্থান ঘটানো জেনারেলরা রাশিয়ার ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। কেননা দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে মুক্তি অথবা পশ্চিম আফ্রিকার আঞ্চলিক জোট ‘ইকোয়াস’র সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কায় আছেন তারা।
সাংবাদিক ও সুফান সেন্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ওয়াসিম নাসর বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, অভ্যুত্থান নেতা জেনারেল সালিফু মুডি প্রতিবেশী মালি সফরের সময় ওয়াগনারের একজনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ওয়াসিম নাসর বলেন, ওয়াগনারকে তাদের প্রয়োজন, কারণ তারা ক্ষমতা ধরে রাখার গ্যারান্টি চায়। ওয়াগনারও অনুরোধ বিবেচনা করছে।
এদিকে মালিতে যাওয়ার পর জেনারেল সালিফু মুডি ইকোয়াস জোটের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, নাইজারকে ‘নতুন লিবিয়া’ হওয়ার হত থেকে বাঁচাতে যা প্রয়োজন তাই করা হবে।
নাইজারের সামরিক নেতারা সম্প্রতি প্রাক্তন উপনিবেশিক ফ্রান্সকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছেন। ওয়াগনার গ্রুপ মালিসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে কাজ করে। নাইজারে এখনও ফ্রান্সের প্রায় দেড় হাজার ও যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজারের বেশি সেনা রয়েছে।
তাই দেশটিতে অভ্যুত্থানের পর আশঙ্কা করা হচ্ছে, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের এসব সেনাদের বের করে দেওয়া হতে পারে এবং ওয়াগনার সেখানে প্রবেশ করবে।
এই আশঙ্কা থেকে ফ্রান্স জানিয়েছে, ইকোয়াস জোট যদি কোনো সামরিক অভিযান চালায় তাহলে এতে সমর্থন দেবে তারা। যদিও সমর্থন বলতে ফ্রান্স অভিযানে নিজ সেনাদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বুঝিয়েছে কি না সেটি অস্পষ্ট।