ওজন কমাতে চাইলে খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফল এবং শাকসবজি রাখতেই হবে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ ফলেই ফাইবার থাকে। তাই এগুলো ওজন কমাতে সহায়ক। এক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় প্রিয় এবং সুস্বাদু আম রাখা যায় কি না তা নিয়ে অনেকেই দ্বন্দ্বে ভোগেন।
আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা শেষ নেই। এতে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ-সহ ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে।বেশিরভাগ মানুষই দুপুর বা রাতে খাওয়ার পর আম খান। এটা ঠিক নয়। এতে শরীরে অপ্রয়োজনীয় এবং অতিরিক্ত গ্লুকোজ সরবরাহ হয়। সেক্ষেত্রে সকালে আম খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। এটা তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। হাঁটা, সাঁতার বা কার্ডিও এক্সারসাইজের আগে প্রি-ওয়ার্কআউট স্ন্যাক্স হিসেবেও আম খাওয়া যায়। এটা সুক্রোজের ভালো উৎস। তাই ওয়ার্কআউটের পরেও আম খাওয়া যেতে পারে।
আম খাওয়ার আগে অন্তত এক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে আমে উপস্থিত থার্মোজেনিক বৈশিষ্টগুলি হ্রাস পায়। তবে আমের জুস খেতে নিরুৎসাহিত করেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ফাইবার বেরিয়ে যায়, ফলে পুষ্টিগুণ কমে যায়। এছাড়া দোকান থেকে কেনা আমের জুসও এড়িয়ে চলাউচিত। কারণ এতে খুব বেশি চিনি থাকে। এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বাড়ে।