ঈদের ছুটি শেষ হওয়া কমতে শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। আর বিক্রেতারা বলছেন, জোগান স্বাভাবিক হওয়ায় দাম কমছে।
বাজারে পর্যাপ্ত জোগান থাকায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব মাছ, তবে জোগান স্বল্পতায় কিছুটা বেশি মাংসের দাম।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার ও মগবাজার ঘুরে শুক্রবার এমন চিত্র দেখা যায়।
যে কাঁচামরিচ দুই দিন আগেও কেজিতে বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকায়, তা এখন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই অবস্থা শসার। প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, যা ছিল ১২০ টাকা।
প্রায় সব সবজিই কেজিপ্রতি কমেছে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা পর্যন্ত।
কমেছে সবজির দাম, বেড়েছে মাংসের
করলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে, যা আগে ছিল ৬০ টাকা। এ ছাড়া পেঁপে ২০ টাকা, ঢ্যাঁঢ়স ২৫ টাকা, কাঁকরোল ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা এবং পটল ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লেবু প্রতি ডজন ৪০ টাকা এবং কাঁচাকলা প্রতি হালি ২০ টাকায় বেচা হচ্ছে।
মাছের পড়তি দাম
ঈদের ছুটিতে যে কাচকি মাছ বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা কেজি দরে, তা এখন ৪০০ টাকা। এ ছাড়া আগের দামে ফিরেছে রুই মাছও। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, তবে জ্যান্ত রুই কিনতে আরও ৫০ টাকা বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।
বাগদা চিংড়ি ৬০০ ও গলদা ৭০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে আইড়, চিতল, বেলে মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
প্রায় সব মাছের দাম কমলেও জোগান কম থাকার অজুহাতে বেড়েছে ইলিশের দর। মাঝারি আকারের ইলিশ কিনতে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৩০০ টাকা, যা কয়েক দিন আগেও ছিল ১ হাজার ১০০ টাকা।
মাংসের দাম বাড়তি
সবজি ও মাছের দাম কমলেও দাম বেড়েছে সব ধরনের মাংসের। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে, যা দুই দিন আগেও ছিল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায়। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে।
কোরবানির ঈদের পর গরু ও খাসির মাংসের দাম সাধারণত কিছুটা কম থাকে, তবে এবার ঘটেছে তার উল্টো।
প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা কেজিতে।
কমেছে সবজির দাম, বেড়েছে মাংসের
বিক্রেতারা বলছেনঃ জোগান কম থাকায় বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের মাংসের দাম।