দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে আরও ১০৫১ জনের শরীরে। এই সময়ে ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৫১ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়ে।নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কমে হয়েছে ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
নতুন ১০৫১ জন নিয়ে দেশে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ৪৩৩ জন হয়েছে।আর নতুন দুইজনের মৃত্যু নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ২২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এই ভাইরাসে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫৭ জন করোনা রোগীর সেরে ওঠার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ২১ হাজার ১২৩ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।ডেল্টার পর করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আঘাত হানে।
গত ২০ এপ্রিল করোনায় মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর টানা ৩০ দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করে বাংলাদেশ। সম্প্রতি করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে।