প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেছেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া এর যথেচ্ছ ব্যবহার এবং অযোগ্য ব্যক্তির মাধ্যমে এর ব্যবহার করতে দেওয়ায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। এজন্য প্রশিক্ষণ দরকার।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক গবেষণা ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মন্ত্রী। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) বাস্তবায়নাধীন ‘বাংলাদেশে গবাদিপশুর হেলথ সিকিউরিটি এজেন্ডা লক্ষ্য অর্জনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এবং জুনোটিক রোগ প্রতিরোধ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অনুধাবন করেছে। এটা নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয় সচেষ্ট রয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক মানের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ল্যাবরেটরি করা হয়েছে। প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহৃত ওষুধে সঠিক উপাদান আছে কি না, সেটা এ ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে এ ল্যাবের পরিধি আরো বাড়ানো হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে মাঠপর্যায়ে যারা কাজ করেন, তারাও যাতে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার করতে না পারেন, সেটাও দেখা হবে।
বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। আরো ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। স্বাগত বক্তব্য দেন এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. আবদুুস সামাদ।
