দীর্ঘ অপেক্ষার পর আজ মরুর দেশে পর্দা উঠছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসরের। এবারই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। এদিন উদ্বোধনী খেলায় আল বাইত স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে স্বাগতিক দেশ কাতার ও লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর।
আয়োজক দেশ হিসেবে এবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলছে কাতার। এর আগে কোনো দিন বিশ্বকাপ মঞ্চে তাদের দেখা যায়নি। অন্য দিকে ইকুয়েডর চতুর্থবারের মতো খেলতে আসছে বিশ্বকাপ মঞ্চে। এর আগে ২০০২, ২০০৬ এবং ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপ খেলেছিল তারা। তবে মাঝে দিয়ে ২০১৮ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি ইকুয়েডর দল।
দুই দলের ওপর লক্ষ করলে এ ম্যাচে স্বাগতিকদের থেকে এগিয়ে রয়েছে ইকুয়েডর। কেননা ইকুয়েডর অবশ্য তাদের খেলা সর্বশেষ ছয়টি ম্যাচেই অপরাজিত রয়েছে। অন্য দিকে বিশ্বকাপের পূর্বে খেলা তাদের সবশেষ পাঁচটি প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্যে কেবল একটিতেই হেরেছে। তবে, সেই পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তারা জিতেছেও একটিতেই, এবং বাকি তিনটি ম্যাচেই তারা ড্র করেছে। কাতারের একটি বৈশিষ্ট্য হলো তারা যে কোনো দলের সঙ্গেই আক্রমণাত্মক খেলা খেলে।
এদিকে দুই দলের ইতিহাসে এর আগে তারা একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল তিন বার। যার একটি করে দুই দলই জিতেছে এবং এক ম্যাচ হয়েছে ড্র। তবে এখানে রয়েছে কিছু হিসাব-নিকাশ। ইকুয়েডর কাতারের বিপক্ষে জয় এবং ড্র করেছিল সেই ১৯৯৬ সালে। কিন্তু কাতার জয় পেয়েছে চার বছর আগের দেখায়। ২০১৮ সালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ৩-৪ গোলে জয় পেয়েছিল কাতার।
তবে প্রথম ম্যাচকে নিয়ে রয়েছে কিছু বিতর্ক। গত শক্রবার সৌদি আরবে ব্রিটিশ সেন্টারের কৌশলগত রাজনৈতিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং আঞ্চলিক পরিচালক আমজাদ তাহা দাবি করেছেন প্রথম ম্যাচে জয় পেতে ইকুয়েডরের ৮ ফুটবলারকে ৭ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়েছে কাতার।
এ বিষয়ে সম্প্রতি এক টুইট করেছেন আমজাদ। টুইটারে তার ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। তিনি বলছেন, কাতারকে ম্যাচ ছেড়ে দেবে ইকুয়েডর। ১-০ গোলে জয় পরাজয় নিশ্চিত হবে। দ্বিতীয়ার্ধে করা গোলে ইকুয়েডরকে হারাবে কাতার। এসময় তিনি সতর্ক করেছেন এবং জানিয়েছেন ইকুয়েডর ও কাতারের অভ্যন্তরীণ সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।