দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। সারা পৃথিবীর ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনার জ্বর! রোববার (২০ নভেম্বর) মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষুদ্রতম দেশটিতে শুরু হতে যাচ্ছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। এর মধ্যে বিশ্বকাপের আটটি ভেন্যুতেই বিয়ার বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে কাতার সরকার ও বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
বিশ্বকাপ শুরুর আর মাত্র দুই দিন আগেই পুর্বের সিদ্ধান্ত থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আয়োজক দেশ কাতার ও ফিফা। শুক্রবার বিশ্বকাপের আটটি স্টেডিয়ামে আশেপাশে বিয়ার কেনাবেচা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তারা।
বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারের সঙ্গে ‘আলোচনার’ পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় ফিফা। কারণ এটি একটি ইসলামী রাস্ট্র। যেখানে এমনিতেই এলকোহল গ্রহণের উপর কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে।
তবে আকষ্মিক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো কারণ জানায়নি ফিফা। সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র ফ্যান জোনে এ্যালকোহল পাওয়া যাবে উল্লেখ করে বলা হয়। কাতার বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামের চারদিক থেকে বিয়ার বিক্রয়ের পয়েন্টগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে।
রোববার কাতার বনাম ইকুয়েডরের মধ্যকার উদ্বোধনী ম্যাচ উপলক্ষে ইতোমধ্যে স্টেডিয়ামগুলোর চারদিকে কয়েক ডজন বিয়ার বিক্রির স্টল বসানো হয়েছিল। ২৯ দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্ট উপরক্ষে এক মিলিয়নেরও বেশি লোক কাতার ভ্রমণ করবে বলে ধারণা করছে আয়োজকরা।
অপরদিকে এবি ইনবেভের মালিকানাধীন বাডওয়াইজারের সঙ্গে ফিফার রয়েছে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এবি ইনবেভ বিষয়টি অনুধাবন করে কাতার বিশ্বকাপ চলাকালে সহায়তা করায় তাদের প্রশংসা করছে টুর্নামেন্টের আয়োজকরা। অবশ্য স্টেডিয়ামের ভিআইপি সুইটগুলোতে পর্যাপ্ত বিয়ার পাওয়া যাবে। যেগুলো বিক্রি করবে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
এছাড়া দোহায় অবস্থিত ফিফার ফ্যান জোন, কিছু প্রাইভেট ফ্যান জোন এবং ৩৫টি হোটেল ও রেস্টুরেন্টে বিয়ার পাওয়া যাবে। কাতারে বিলাসবহুল আন্তর্জাতিক হোটেল কিংবা রিসোর্টের সঙ্গে যুক্ত নয়, এমন সব রেস্তোরাঁয় অ্যালকোহল বিক্রি নিষিদ্ধ।
এদিকে ফুটবল সমর্থক সমিতি (এফএসএ) বিয়ার বিক্রি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের সময় নিয়ে সমালোচনা করেছে। এফএসএ মুখপাত্র বলেন, খেলা দেখতে আসা সবাই বিয়ার খান না। এটি এমন সময় বন্ধ করা হল যা দুঃখজনক।
১৯৮৬ আসরেও ভেন্যুতে মাদক নিষিদ্ধ ছিল। ২০১৪ বিশ্বকাপেও তাতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। অতীতে বৈশ্বিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজকরাও এক্ষেত্রে সফল হয়েছে। বাসস