সোমবার ইরানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে তারা কাতার এর আল উদেইদ মার্কিন বিমানঘাঁটিতে “বিধ্বংসী এবং শক্তিশালী” ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। মার্কিন বিমান হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকির পর কাতার এর রাজধানী জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
মার্কিন বোমারু বিমান তেহরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বিমান যুদ্ধে যোগ দিয়ে সপ্তাহান্তে ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের বাঙ্কার-বাস্টার নিক্ষেপ করার পর ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে এবং রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানি সরকার পতনের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন।
আল জাজিরা টিভির বরাত দিয়ে কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উপসাগরের ওপারে অবস্থিত মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক স্থাপনা আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার ঘটনা প্রতিহত করেছে।
ইসরায়েলের পক্ষে মার্কিন হামলার জবাব দেওয়া হবে, ইরান
কাতারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে হামলায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, যার নিন্দা জানিয়েছে এবং প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার সংরক্ষণ করে বলেছে।
ইরানে মার্কিন বিমান হামলার পর উপসাগরীয় দেশটিতে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটির উপর বিশ্বাসযোগ্য হুমকি রয়েছে বলে রয়টার্সকে জানানোর কিছুক্ষণ পরেই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও, ইরাকের মার্কিন আইন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটি সম্ভাব্য আক্রমণের আশঙ্কায় তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে, সামরিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
সোমবার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, হোয়াইট হাউস এবং প্রতিরক্ষা বিভাগ আল উদেইদ বিমান ঘাঁটির উপর সম্ভাব্য হুমকির উপর নিবিড় নজর রাখছে।
কিছুক্ষণ আগে, একটি ছোট, ধনী উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্র কাতার ঘোষণা করেছে যে তারা বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে আমেরিকানদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য একটি পরামর্শের পরে এটি করা হয়েছিল, যা বলা হয়েছিল।
দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন ওয়াশিংটন মূল্যায়ন করেছে যে ইরান শীঘ্রই মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান বাহিনীকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালাতে পারে, যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও একটি কূটনৈতিক সমাধান চাইছে যাতে তেহরান কোনও প্রতিশোধ এড়াতে পারে।
সোমবারের শুরুতে, তেহরানের রাজনৈতিক বন্দীদের জন্য একটি কারাগারে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। এই হামলায় তারা ইরানের শাসন ব্যবস্থার স্তম্ভগুলিকে লক্ষ্য করে সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনার বাইরেও তাদের লক্ষ্যবস্তু সম্প্রসারণ করছে।
উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে তেল সরবরাহকে চ্যালেঞ্জ করার ইরানের হুমকি সত্ত্বেও, তেলের দাম মূলত স্থিতিশীল ছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে ব্যবসায়ীরা সন্দেহ করেছিলেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যাহত করবে এমন যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি মস্কোতে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দেখা করেছেন, কারণ তেহরান তার পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তার শেষ প্রধান শক্তিধর বন্ধুদের একজনের সমর্থন চেয়েছে।
