কানাডার সাসকাচোয়ান প্রদেশে ছুরি হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন পলাতক দুই হামলাকারীর দ্বিতীয়জন পুলিশি হেফাজতে মারা গেছেন। তাঁর নাম মাইলস স্যান্ডারসন। এর আগে অন্য হামলাকারীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল কানাডার পুলিশ।
সাসকাচোয়ান প্রদেশের রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) বলেছে, যেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছিল, সেখান থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে রোস্টারন শহরে মাইলস স্যান্ডারসনকে খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁর গাড়ি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ তাঁর গাড়িকে ধাওয়া করলে গাড়িটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে যায়। এতে মারাত্মক আহত হোন মাইলস। তাঁকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ আরও জানিয়েছে, মাইলসের মৃত্যুর ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। এ এলাকার জনগণ আর নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে নেই। যাঁরা মাইলের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করেছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
গত রোববার কানাডার সাসকাচোয়ান প্রদেশের একটি আদিবাসী অধ্যুষিত শহরে ছুরি হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৮ জন। এই হামলাকে কানাডার সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ সহিংসতার একটি বলে মনে করছেন কানাডার মানুষ।
এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ডেমিয়েন স্যান্ডারসন (৩১) নামের প্রথম সন্দেহভাজন হামলাকারীকে জেমস স্মিথ ক্রি নেশন থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তখন পুলিশের সহকারী কমিশনার রোন্ডা ব্ল্যাকমোর এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, স্থানীয় সময় সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেমস স্মিথ ক্রি নেশন থেকে মৃত অবস্থায় ডেমিয়েন স্যান্ডারসনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর মরদেহটি একটি বাড়ির কাছে ঘাসের ওপর পড়ে ছিল। মরদেহটির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।
এরপর স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দ্বিতীয় সন্দেহভাজন হামলাকারী মাইলস স্যান্ডারসন (৩০) পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মারা গেলেন।
রোববারের হামলায় নিহতদের অধিকাংশের বয়স ২৩ থেকে ৭৩ বছরের মধ্যে। জেমস স্মিথ ক্রি নেশনের এই অঞ্চলে প্রায় ১ হাজার ৯০০ মানুষ বাস করেন।