আফগানিস্তানের রাজধানীতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় ৩০ জন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলো। আহত হয়ে হাসপাতোলে ভর্তি আছেন অনেকে। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
হাসপাতালের সূত্রে শনিবার (০১ অক্টোবর) । এর আগে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা বলে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে।
কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলীয় দাশত-ই-বারচি এলাকায় বিস্ফোরণটি ঘটে। প্রাধানত শিয়া মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় সংখ্যালঘু হাজরা সম্প্রদায়ের লোকরা বসবাস করেন।
ঘটনার পরপরই কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান বলেন, ‘শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলার সময় শিক্ষার্থীরা একটি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এতে ১৯ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন।’
শিক্ষাকেন্দ্রটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের কোচিং করানো হয়। এটি প্রধানত প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং মহিলাদের ভর্তি প্রস্তুতির প্রশিক্ষণ দেয়।
এ ঘটনার পরপরই পরিবারগুলো স্থানীয় হাসপাতালে ছুটে যান। যেখানে অ্যাম্বুলেন্সগুলো নিহত ও আহতদের নিয়ে আসছিল সেখানে তাদের একটি তালিকা রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে ভিড়ের মধ্যে ফের আক্রমণ হতে পারে এই আশঙ্কায় তালেবানরা নিহতদের পরিবারগুলোকে সরে যেতে বাধ্য করেছে।
অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিও এবং স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে রক্তাক্ত অবস্থায় বহু দেহ দেখা গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল নাফি তাকোর এক টুইটে বলেছেন, নিহত ও আহতদের ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, হামলার ধরণ এবং হতাহতদের বিস্তারিত পরে জানানো হবে।