ইউরোপের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জয়ীর নাম আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ সময় রাত দুইটায় এই পুরস্কার জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।
প্রথাগত নিয়ম ভেঙে এবার ব্যালন ডি’অর পুরস্কার ঘোষণা করা হবে মৌসুমের পারফর্মেন্স ভিত্তিতে। ব্যালনের প্রায় সাত দশকের ইতিহাসে শুধু দ্বিতীয়বারের মতো মৌসুম বিবেচনায় আনা হচ্ছে। আগে বাৎসরিক পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার ঘোষণা করা হতো।
এদিকে এবারের ব্যালন ডি’অরের জন্য সেরার তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম লিওনেল মেসি। বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম নিশ্চিত করেছে, এবারের ব্যালন ডি’অর উঠতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনার এই অধিনায়কের হাতে। ধারণা করা হচ্ছে, কাতারে বিশ্বকাপ জেতায় রেকর্ড অষ্টম ব্যালন ডি’অর তার ঘরেই উঠতে যাচ্ছে। এমনকি অনেকের দাবি, গত মাসেই নাকি ব্যালন ট্রফির সঙ্গে অফিসিয়াল ফটোশ্যুটও সেরে নিয়েছেন মেসি।
এবারের ব্যালন ডি’অরের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই সময়কে। এ সময়ে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জয়সহ পিএসজির হয়ে ফরাসি লিগও জিতেছেন মেসি। এমনকি নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়েও দারুণ শুরু করেছিলেন। সবঠিক থাকলে, প্রথমবারের মতো মেজর লিগ সকার থেকে ব্যালন ডি’অর পেতে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি।
মেসির ব্যালন ডি’অরের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী অবশ্য ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হলান্ড। গত মৌসুমে ট্রেবল জিতেছেন তিনি। সেই সঙ্গে মৌসুম জুড়ে গোল করেছেন ৫২টি। জিতেছেন উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাবটাও। যে কারণে হালান্ডকে খুব একটা পিছিয়ে রাখা হচ্ছে না।
তবে হালান্ড ও মেসি দুজনকেই কোচিং করানো পেপ গার্দিওলা দিয়েছেন অভিনব সমাধান। কয়েক দিন আগে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা বলেছিলেন, ‘আমি সব সময়ই বলি, ব্যালন ডি’অরের দুটি ভাগ হোক। একটা ব্যালন ডি’অর সব সময়ের জন্য রাখা হোক মেসির জন্য, আর অন্যটি বাকি সবার। তাতে হালান্ডও একটা জিতে পারে।’
তবে শেষ পর্যন্ত কে যে ব্যালন পাচ্ছেন, তা নিয়ে অপেক্ষা থেকেই যায়। একই দিন নারী বর্ষসেরা ফুটবলার, নারী ও পুরুষ বিভাগে সেরা কোচ, তরুণ খেলোয়াড়দের কেপা ট্রফি ও গোলরক্ষকদের জন্য থাকবে লেভ ইয়াসিন ট্রফি। এছাড়া, সেরা স্ট্রাইকার ও মাঠের বাইরের অবদানের জন্য থাকবে সক্রেটিস ট্রফি।