টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ আসরের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে শিরোপা জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে বিশ্বকাপে আবার মুখোমুখি সেই দুই দল। এবার অবশ্য সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচ। এই ম্যাচে কিউইদের নখরে ক্ষত-বিক্ষত ক্যাঙ্গারুরা। ফাইনালে হারার প্রতিশোধ নেওয়ার পাশাপাশি ২০১১ সালের পর প্রথম অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয় পেল নিউজিল্যান্ড।
এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার ও জিমি নিশামের কল্যাণে ৩ উইকেটে ২০০ রানের স্কোর দাঁড় করায় কিউইরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭ ওভার ১ বলে ১১১ রানে গুটিয়ে যায় ক্যাঙ্গারুরা।
এদিন আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে। পাওয়ার-প্লেতে তারা তোলেন ৬৫ রান। যার মধ্যে অ্যালেন একাই ১৬ বলে ৫টি চার ও ২ ছয়ে করেন ঝড়ো ৪২ রান। এরপর তিনে নেমে অধিনায়ক উইলিয়ামসন ২৩ ও গ্লেন ফিলিপস ১২ রান করে ফিরে যান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে জিমি নিশামকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৪৮ রানের জুটি গড়ে দলীয় দুইশ রান স্পর্শ করেন কনওয়ে। এরমধ্যে নিশাম ১৩ বলে ২ ছয়ে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
তবে কিউয়িদের পক্ষে কনওয়ে খেলেন ম্যারাথন ইনিংস। ওপেনিংয়ে নেমে ৫৮ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি। সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়লেও প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে অপরাজিত থেকে গড়েন বিশ্ব রেকর্ড।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে কোনো পর্যায়ে ম্যাচে থাকতে পারেনি অজিরা। দ্বিতীয় ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোল্ড হয়ে ওয়ার্নারের (৫ রান) বিদায়ে আউট হওয়ার সুইচ গেট ওপেন হয় অস্ট্রেলিয়া শিবিরের। এরপর ৫০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি।
অধিনায়ক ফিঞ্চ (১৩ রান), মিচেল মার্শ (১৬), মার্কাস স্টয়নিস (৭), টিম ডেভিড (১১), ম্যাথু ওয়েডরা (২) ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থ হোন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৮ রান করে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। শেষদিকে কামিন্স ২১ রান করলে শতরানের কোটা পেরোয় অজিরা।
এদিন বল হাতে কিউই বোলাররা ছিলেন দুর্দান্ত। সাউদি ৩ উইকেট নেন মাত্র ৬ রানের বিনিময়ে। এছাড়াও মিচেল স্যান্টনারও ৩ উইকেট পান তবে ৩১ রানের বিনিময়ে। ট্রেন্ট বোল্ট ২ উইকেট নিতে খরচ করেন ২৪ রান।