নিরাল নদীর তীরে মেইল ব্যাপী কাটা ফসলের জমি
নিথর অন্ধকারে যেন কাদের কথা ভেসে আসে
হয়তো নদীর মাঝির অস্ফুট বাক্য বিনিময়
অথবা হাটুরের গান শেষ অংশ অশ্রুত ছিল
বাতাসের অন্ধকারে মিলে মিশে অশেষ অসীমে
রেশটুকু সুর হয়ে বাজবে না কোনো কালে আর
বাতায়নে কাঁপন তুলে ভেসে গেছে আপার অকুলে
কিছু আলো ফুলকি হবে কিছু আলো ঘাটের পৈঠায়
কান পেতে বুঝতে চাইবে সুরের রেশ অভশেষ টুকু
গহীন ঘুমের কোলে স্বপ্নের সাথে প্রতিতুলনায়
মাঠের সাদাটে আঁধার ঢেকে ফেলতে পারেনি তাদের
হাতের লণ্ঠনের শিখা দূর থেকে দূরে চলে গেলে
অস্ফুট শব্দের ধ্বনি জমি’র আল থেকে আলে
দিগন্তের দিকে চিহ্ন ছিল অতঃপর অমলিন হোলো
সবুজ আঁধারে গহন গাঁও গ্রামের অন্তঃপুরে
তখন গভীর ঘুমে এলায়িত অসম্বৃত আঁচল