টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমা ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এসব নদ-নদীর পানি বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে জেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানা যায়, শুক্রবার সকালে ধরলা নদীর পানি ফেরীঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এর ফলে এসব নদ-নদীর অববাহিকার ফুলবাড়ী, সদর, উলিপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের চর ও দ্বীপচরসহ নিম্নাঞ্চলের অর্ধশতের মতো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর আতে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও গঙ্গাধর নদীবেষ্টিত ইউনিয়নটিতে পোড়ারচর, চর যাত্রাপুর, পার্বতীপুর, ঝুনকারচর, ভগবতীপুর, কালির আলগা, চিড়াখাওয়া ও চর রসুলপুরসহ ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় ২ হাজারের মতো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নের খামার ব্রহ্মতর, আরাজী কুমোরপুর, চর কুমারেরবস, চর রাউলিয়া দোবারিরখোলা ভৈষেরকুটি, সরকারপাড়া গ্রাম, খারুয়ারপাড়, সবুজপাড়া ও কাজলদহ গ্রামে প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
তিনি আরও জানান, বাড়িঘরে পানি উঠেছে। এর ফলে কেউ ঘরে মাঁচা তৈরি করে-কেউবা নৌকায় অবস্থান নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পানিবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এ অবস্থায় বাঁধসহ বিভিন্ন ঝঁকিপূর্ণ পয়েন্ট নিবীড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।