আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার হতে পারে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে ১৮ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা বা ৭ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে ধারাবাহিকতায় এবারও কৃচ্ছতার ছাপ থাকছে এডিপিতে। নতুন অর্থবছরের এডিপি অনুমোদনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠক আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে শেরেবাংলানগরস্থ এনইসি সম্মেলন কেন্দ্র বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। করোনার আগের বছরগুলোয় প্রতিবারই এডিপির আকার আগের বারের চেয়ে ১০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হতো। এবার তার চেয়ে কম হারে বাড়ানো হচ্ছে এডিপির আকার। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় না হওয়ায় এডিপির আকার খুব বেশি বাড়ানো যাচ্ছে না। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকার ব্যয়সাশ্রয়ী পদক্ষেপও নিয়েছে। প্রকল্প অনুমোদনে নানা ধাপ পেরোতে হচ্ছে, যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া আরো কঠোর করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরেও ব্যয়সাশ্রয়ের পদক্ষেপ থাকবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত এডিপিতে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়লেও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় খরচ কমে আসায় স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমানো হতে পারে। তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং পরিবহন ও যোগাযোগ এ দুই খাতের মোট এডিপির প্রায় ৪৬ শতাংশ বরাদ্দ যাচ্ছে। ইতিমধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় নতুন এডিপি প্রস্তাব আকারে চূড়ান্ত করেছে। এনইসি বৈঠকে বরাদ্দ হ্রাস-বৃদ্ধিও হতে পারে।
প্রস্তাবিত এডিপিতে দেখা গেছে, আগামী অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে সব মিলিয়ে ১৬ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। চলতি এডিপিতে বরাদ্দ রয়েছে ১৯ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা। শিক্ষা খাতে ২৯ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। সামাজিক সুরক্ষা খাতে ৩ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হতে পারে। পরিবহন ও যোগাযোগ খাত সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা পাচ্ছে, যা মোট এডিপির প্রায় ২৯ শতাংশ। আর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে প্রায় ৪৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা বা প্রায় ১৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে।