বিএনপি নেতাদের আটক ও জামিন বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্য তার ব্যক্তিগত বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ সময় তিনি বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য আমাদের দলের নয়। এটা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত অভিমত।’
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও একই কথা বলেছিলেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় সেই কথারই পুনরাবৃত্তি করেন আইনমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের সামনে দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতা যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদেরকে নির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিচার ও তাদের জামিনের ব্যাপারে শুধু আদালত কথা বলতে পারে। আর কেউ নয়।’
এ সময় ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ বর্তমানে স্বাধীন’ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারকে হত্যা করে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করা হয়েছিল। তখন বিচার বিভাগকে কবজায় নেওয়া হয়েছিল। সেই অবস্থা এখন আর নেই। বর্তমানে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন।’
কসবা-আখাউড়ার প্রার্থী আনিসুল হক বলেন, ‘কসবা-আখাউড়ার জনগণের কাছে আমার চাওয়া হচ্ছে, তাদের ভালোবাসা। আমি গত ১০ বছর তাদের সেবা করেছি। তাদের ভালোবাসা পেয়েছি। কসবা ও আখাউড়ার উন্নয়নের জন্য যা কিছু করতে হয়, আমি করবো।’
এ সময় স্টেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মতিন, আখাউড়া উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন, যুবলীগে যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন এবং অন্যরা।
পরে মন্ত্রী সড়ক বাজারে জনসাধারণের সঙ্গে জনসংযোগ করে লিফলেট (প্রচারপত্র) ও ফুল দেন। জনসংযোগ শেষে সেখান থেকে মন্ত্রী খড়মপুর কল্লা শাহ (র.) মাজার জিয়ারত করেন।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে ঢাকা থেকে মহানগর প্রভাতী ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছান তিনি।
এ সময় স্টেশনে সহস্রাধিক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি সেখানে অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদেরকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।