হৃদিতা চলচ্চিত্রে গান গেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন কণ্ঠশিল্পী চন্দন সিনহা। কথা বলেছেন নিজের প্রাপ্তি ও গানের বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে।
খুব অল্পসংখ্যক গান গেয়েই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন দ্বিতীয়বারের মতো। কেমন লাগছে। এই প্রাপ্তিকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
দেখুন। আমি বরাবরই খুব অল্পই কাজ করেছি। নব্বই দশকে যখন সকলে সমানে মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশ করেছে, তখন আমি নিজের অ্যালবাম আলাদাভাবে প্রকাশ করেছি, যেখানে একাধিক তারকাশিল্পীরা মডেল হয়েছেন প্রথমবারের মতো। এর বাইরে আমি আমার সলো অ্যালবামও বছরে একটিই প্রকাশ করেছি।
নিজের শিল্পী জীবনের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা কোত্থেকে পেয়েছেন?
পরিবারের কাছ থেকে। আর ঢাকা শহরে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রেরণা দেন। আমার ভেতরের শিল্পীস্বত্ত্বাকে তিনিই প্রকাশে আনেন।
১০ বছর আগে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ চলচ্চিত্রের জন্য আপনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এবারে পেলেন দ্বিতীয়বারের মতো। এই দীর্ঘ জার্নির মাঝখানে এত কম গান প্রকাশ করা কেন?
এই কম গান প্রকাশ করা শুধু আমি একা নই কিন্তু। গোটা মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিই তো একটা বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত পথে হেঁটেছে। তাই আগেও যেমন প্রচলিত স্রোতে গা ভাসাইনি। এখনও চাইনি। ভাল একটি কাজের অপেক্ষায় ছিলাম। সে কারণে সেই অপেক্ষা ১০ দিনও হতে পারে। আবার আরো ১০ বছরও লাগতে পারে।
পেশাদার শিল্পীরা তাহলে কী স্রোতে গা ভাসায়?
না। আমি সেটিও বলছি না। পেশাদার শিল্পীদেরও সকলে কিন্তু সবগান করেন না। একজন কুমার বিশ্বজিেক কিন্তু যে কোনো গান গাওয়ানো সম্ভব না। তাই প্রত্যেক শিল্পীরই নিজস্ব একটা পরিকল্পনা থাকে। আমারটা আমার মতো। কেউ যেন কোনোদিন বলতে না পারে আমি মানহীন গান করেছি। এটাই আমার শিল্পের প্রতি দায়বোধ।
নিজের নতুন কোনো কাজ আসছে কী?
বেশ কিছু গান রেকর্ডিং শেষ করেছি। রিলিজের পরিকল্পনা চলছে। দেখা যাক। রাষ্ট্র আপনাকে আপনার কাজে সম্মানিত করলে দায়িত্বেও চাপ অনুভব হয়। আমারও তাই হচ্ছে।