চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আগেও হয়েছে। সংকট এসেছে। সংকট মোকাবিলা করেছে প্রাণের বিনিময়ে। চিকিৎসক নার্সদের নিরলস চেষ্টা ছিল। কিন্তু হাসপাতালের ক্ষমতা সুযোগ-সুবিধা ছিল না অতটা। তাই ২০০৬ সালে চট্টগ্রামের কেটিএস অ্যাপারেলসে অগ্নিকাণ্ডে ৬৫ শ্রমিক মারা গিয়েছিল।
পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো ইউনিট তখনো গড়ে ওঠেনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর আগেও এ রকম ছোট বড় অগ্নি দুর্ঘটনা চট্টগ্রামে বহুবার ঘটেছে। প্রতিবারই একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিটের জন্য হাপিত্যেশ করে চিকিৎসক ও সেবাগ্রহণকারীরা। ২০০৬ সালেও এ রকম আক্ষেপের জন্ম দিয়েছিল।
ওই আক্ষেপ কিছুটা ঘুচেছিল ২০১২ সালে একটি ২৬ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের যাত্রার মধ্য দিয়ে। তার আগে সার্জারি বিভাগে এক কোনায় পোড়া রোগীদের এর জন্য কেবল কয়েকটি শয্যা বরাদ্দ ছিল।
১০ বছর বয়সী স্বতন্ত্র বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটটি সাধ্যমতো সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু রোগী থাকে প্রায় সব সময় শয্যার দ্বিগুণ। আর জাহাজ ভাঙা কারখানার দুর্ঘটনা কিংবা কোনো কারখানায় আগুন লাগলে সংকট স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শয্যা সংকটের পাশাপাশি এই বিভাগটির বড় সমস্যা নিজস্ব নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) না থাকা। যা পোড়া রোগীদের জন্য খুবই জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ বললেন, ‘আমাদের ইউনিটে সংকটাপন্ন রোগী রাখতে পারি না। আইসিইউ দরকার হলে সমস্যায় পড়ে যাই। হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউ সব সময় ব্যস্ত থাকে। তাই অনেক রোগী ঢাকায় চলে যায়। কিন্তু যাত্রাপথের এই সময়টা রোগীদের জন্য খুবই কঠিন।’
এই ইউনিটের পুরোনো চিকিৎসকেরাও মনে করতে পারেন কেটিএস দুর্ঘটনার সময়কার পরিস্থিতির কথা। সংকটকালের কথা তাঁদের মনে গেঁথে রয়েছে। এখন পরিস্থিতি তখনকার চেয়ে ভালো হলেও সংকট কাটেনি। তা আরেকবার প্রমাণ হলো সীতাকুণ্ডের বি এম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার পর।
নতুন করে আক্ষেপ করছেন চিকিৎসকেরা। একটি ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল সবকিছু তৈরি থাকা সত্ত্বেও করতে না পারার আক্ষেপ। শুধুমাত্র একটি জায়গা বরাদ্দের অভাবে বারবার পিছিয়ে পড়ছে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল প্রকল্প।
ছয় বছর আগে চীনের সহায়তায় চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নেওয়া হলেও চাহিদামত জায়গা দিতে না পারায় তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে ছয় বছর পর ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন হাসপাতাল’ প্রকল্পের জন্য গত মাসে বিকল্প হিসেবে আরও চারটি জায়গার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই জায়গাগুলো দেখতে চট্টগ্রামে একটি প্রতিনিধি দলও আসার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনো হয়ে ওঠেনি।
এর আগে গত বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকায় দুটি জায়গা দেখে যান। যা পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু দেখে যাওয়া জায়গাগুলো নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি থাকায় সেটিও বাতিল করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন নতুন চারটি জায়গার প্রস্তাবের বিষয়টি অবগত রয়েছেন। জানা গেছে, নতুন করে পাঠানো চারটি স্থান হলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগান এলাকা, কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের পাশের খালি জায়গা, মিজান হোস্টেলের উত্তরের খালি জায়গা ও অক্সিজেন প্ল্যান্টের পাশের খালি জায়গা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শনে আসে চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। পরিদর্শনে তারা হাসপাতালের বর্তমান বার্ন ইউনিটের পেছনের খালি জায়গায় বিশেষায়িত এ ইউনিট করার কথা জানালে তখন সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এর পর ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে সম্মতির কথা জানানো হয়। পরে হাসপাতালের নকশাও তৈরি করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয়বার এসে পরিমাপ করে জায়গা কম পাওয়ায় এ নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এখন আবার নতুন করে নতুন জায়গা দেখার কথা উঠেছে।
আজ সোমবার সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল বি এম ডিপোর দগ্ধ রোগীদের দেখতে চট্টগ্রাম আসছে। তিনি প্রায় এক দশক ধরে চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামন্ত লাল সেন কিছুদিন আগে বলেছেন, জায়গার অভাবে কেন একটা বার্ন হাসপাতাল হবে না? এটা দুঃখজনক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আগেও হয়েছে। সংকট এসেছে। সংকট মোকাবিলা করেছে প্রাণের বিনিময়ে। চিকিৎসক নার্সদের নিরলস চেষ্টা ছিল। কিন্তু হাসপাতালের ক্ষমতা সুযোগ-সুবিধা ছিল না অতটা। তাই ২০০৬ সালে চট্টগ্রামের কেটিএস অ্যাপারেলসে অগ্নিকাণ্ডে ৬৫ শ্রমিক মারা গিয়েছিল।
পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো ইউনিট তখনো গড়ে ওঠেনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর আগেও এ রকম ছোট বড় অগ্নি দুর্ঘটনা চট্টগ্রামে বহুবার ঘটেছে। প্রতিবারই একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিটের জন্য হাপিত্যেশ করে চিকিৎসক ও সেবাগ্রহণকারীরা। ২০০৬ সালেও এ রকম আক্ষেপের জন্ম দিয়েছিল।
ওই আক্ষেপ কিছুটা ঘুচেছিল ২০১২ সালে একটি ২৬ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের যাত্রার মধ্য দিয়ে। তার আগে সার্জারি বিভাগে এক কোনায় পোড়া রোগীদের এর জন্য কেবল কয়েকটি শয্যা বরাদ্দ ছিল।
১০ বছর বয়সী স্বতন্ত্র বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটটি সাধ্যমতো সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু রোগী থাকে প্রায় সব সময় শয্যার দ্বিগুণ। আর জাহাজ ভাঙা কারখানার দুর্ঘটনা কিংবা কোনো কারখানায় আগুন লাগলে সংকট স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শয্যা সংকটের পাশাপাশি এই বিভাগটির বড় সমস্যা নিজস্ব নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) না থাকা। যা পোড়া রোগীদের জন্য খুবই জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ বললেন, ‘আমাদের ইউনিটে সংকটাপন্ন রোগী রাখতে পারি না। আইসিইউ দরকার হলে সমস্যায় পড়ে যাই। হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউ সব সময় ব্যস্ত থাকে। তাই অনেক রোগী ঢাকায় চলে যায়। কিন্তু যাত্রাপথের এই সময়টা রোগীদের জন্য খুবই কঠিন।’
এই ইউনিটের পুরোনো চিকিৎসকেরাও মনে করতে পারেন কেটিএস দুর্ঘটনার সময়কার পরিস্থিতির কথা। সংকটকালের কথা তাঁদের মনে গেঁথে রয়েছে। এখন পরিস্থিতি তখনকার চেয়ে ভালো হলেও সংকট কাটেনি। তা আরেকবার প্রমাণ হলো সীতাকুণ্ডের বি এম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার পর।
নতুন করে আক্ষেপ করছেন চিকিৎসকেরা। একটি ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল সবকিছু তৈরি থাকা সত্ত্বেও করতে না পারার আক্ষেপ। শুধুমাত্র একটি জায়গা বরাদ্দের অভাবে বারবার পিছিয়ে পড়ছে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল প্রকল্প।
ছয় বছর আগে চীনের সহায়তায় চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নেওয়া হলেও চাহিদামত জায়গা দিতে না পারায় তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে ছয় বছর পর ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন হাসপাতাল’ প্রকল্পের জন্য গত মাসে বিকল্প হিসেবে আরও চারটি জায়গার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই জায়গাগুলো দেখতে চট্টগ্রামে একটি প্রতিনিধি দলও আসার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনো হয়ে ওঠেনি।
এর আগে গত বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকায় দুটি জায়গা দেখে যান। যা পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু দেখে যাওয়া জায়গাগুলো নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি থাকায় সেটিও বাতিল করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন নতুন চারটি জায়গার প্রস্তাবের বিষয়টি অবগত রয়েছেন। জানা গেছে, নতুন করে পাঠানো চারটি স্থান হলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগান এলাকা, কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের পাশের খালি জায়গা, মিজান হোস্টেলের উত্তরের খালি জায়গা ও অক্সিজেন প্ল্যান্টের পাশের খালি জায়গা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শনে আসে চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। পরিদর্শনে তারা হাসপাতালের বর্তমান বার্ন ইউনিটের পেছনের খালি জায়গায় বিশেষায়িত এ ইউনিট করার কথা জানালে তখন সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এর পর ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে সম্মতির কথা জানানো হয়। পরে হাসপাতালের নকশাও তৈরি করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয়বার এসে পরিমাপ করে জায়গা কম পাওয়ায় এ নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এখন আবার নতুন করে নতুন জায়গা দেখার কথা উঠেছে।
আজ সোমবার সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল বি এম ডিপোর দগ্ধ রোগীদের দেখতে চট্টগ্রাম আসছে। তিনি প্রায় এক দশক ধরে চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামন্ত লাল সেন কিছুদিন আগে বলেছেন, জায়গার অভাবে কেন একটা বার্ন হাসপাতাল হবে না? এটা দুঃখজনক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আগেও হয়েছে। সংকট এসেছে। সংকট মোকাবিলা করেছে প্রাণের বিনিময়ে। চিকিৎসক নার্সদের নিরলস চেষ্টা ছিল। কিন্তু হাসপাতালের ক্ষমতা সুযোগ-সুবিধা ছিল না অতটা। তাই ২০০৬ সালে চট্টগ্রামের কেটিএস অ্যাপারেলসে অগ্নিকাণ্ডে ৬৫ শ্রমিক মারা গিয়েছিল।
পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো ইউনিট তখনো গড়ে ওঠেনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর আগেও এ রকম ছোট বড় অগ্নি দুর্ঘটনা চট্টগ্রামে বহুবার ঘটেছে। প্রতিবারই একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিটের জন্য হাপিত্যেশ করে চিকিৎসক ও সেবাগ্রহণকারীরা। ২০০৬ সালেও এ রকম আক্ষেপের জন্ম দিয়েছিল।
ওই আক্ষেপ কিছুটা ঘুচেছিল ২০১২ সালে একটি ২৬ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের যাত্রার মধ্য দিয়ে। তার আগে সার্জারি বিভাগে এক কোনায় পোড়া রোগীদের এর জন্য কেবল কয়েকটি শয্যা বরাদ্দ ছিল।
১০ বছর বয়সী স্বতন্ত্র বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটটি সাধ্যমতো সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু রোগী থাকে প্রায় সব সময় শয্যার দ্বিগুণ। আর জাহাজ ভাঙা কারখানার দুর্ঘটনা কিংবা কোনো কারখানায় আগুন লাগলে সংকট স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শয্যা সংকটের পাশাপাশি এই বিভাগটির বড় সমস্যা নিজস্ব নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) না থাকা। যা পোড়া রোগীদের জন্য খুবই জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ বললেন, ‘আমাদের ইউনিটে সংকটাপন্ন রোগী রাখতে পারি না। আইসিইউ দরকার হলে সমস্যায় পড়ে যাই। হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউ সব সময় ব্যস্ত থাকে। তাই অনেক রোগী ঢাকায় চলে যায়। কিন্তু যাত্রাপথের এই সময়টা রোগীদের জন্য খুবই কঠিন।’
এই ইউনিটের পুরোনো চিকিৎসকেরাও মনে করতে পারেন কেটিএস দুর্ঘটনার সময়কার পরিস্থিতির কথা। সংকটকালের কথা তাঁদের মনে গেঁথে রয়েছে। এখন পরিস্থিতি তখনকার চেয়ে ভালো হলেও সংকট কাটেনি। তা আরেকবার প্রমাণ হলো সীতাকুণ্ডের বি এম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার পর।
নতুন করে আক্ষেপ করছেন চিকিৎসকেরা। একটি ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল সবকিছু তৈরি থাকা সত্ত্বেও করতে না পারার আক্ষেপ। শুধুমাত্র একটি জায়গা বরাদ্দের অভাবে বারবার পিছিয়ে পড়ছে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল প্রকল্প।
ছয় বছর আগে চীনের সহায়তায় চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নেওয়া হলেও চাহিদামত জায়গা দিতে না পারায় তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে ছয় বছর পর ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন হাসপাতাল’ প্রকল্পের জন্য গত মাসে বিকল্প হিসেবে আরও চারটি জায়গার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই জায়গাগুলো দেখতে চট্টগ্রামে একটি প্রতিনিধি দলও আসার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনো হয়ে ওঠেনি।
এর আগে গত বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকায় দুটি জায়গা দেখে যান। যা পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু দেখে যাওয়া জায়গাগুলো নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি থাকায় সেটিও বাতিল করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন নতুন চারটি জায়গার প্রস্তাবের বিষয়টি অবগত রয়েছেন। জানা গেছে, নতুন করে পাঠানো চারটি স্থান হলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগান এলাকা, কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের পাশের খালি জায়গা, মিজান হোস্টেলের উত্তরের খালি জায়গা ও অক্সিজেন প্ল্যান্টের পাশের খালি জায়গা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শনে আসে চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। পরিদর্শনে তারা হাসপাতালের বর্তমান বার্ন ইউনিটের পেছনের খালি জায়গায় বিশেষায়িত এ ইউনিট করার কথা জানালে তখন সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এর পর ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে সম্মতির কথা জানানো হয়। পরে হাসপাতালের নকশাও তৈরি করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয়বার এসে পরিমাপ করে জায়গা কম পাওয়ায় এ নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এখন আবার নতুন করে নতুন জায়গা দেখার কথা উঠেছে।
আজ সোমবার সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল বি এম ডিপোর দগ্ধ রোগীদের দেখতে চট্টগ্রাম আসছে। তিনি প্রায় এক দশক ধরে চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামন্ত লাল সেন কিছুদিন আগে বলেছেন, জায়গার অভাবে কেন একটা বার্ন হাসপাতাল হবে না? এটা দুঃখজনক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আগেও হয়েছে। সংকট এসেছে। সংকট মোকাবিলা করেছে প্রাণের বিনিময়ে। চিকিৎসক নার্সদের নিরলস চেষ্টা ছিল। কিন্তু হাসপাতালের ক্ষমতা সুযোগ-সুবিধা ছিল না অতটা। তাই ২০০৬ সালে চট্টগ্রামের কেটিএস অ্যাপারেলসে অগ্নিকাণ্ডে ৬৫ শ্রমিক মারা গিয়েছিল।
পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো ইউনিট তখনো গড়ে ওঠেনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর আগেও এ রকম ছোট বড় অগ্নি দুর্ঘটনা চট্টগ্রামে বহুবার ঘটেছে। প্রতিবারই একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিটের জন্য হাপিত্যেশ করে চিকিৎসক ও সেবাগ্রহণকারীরা। ২০০৬ সালেও এ রকম আক্ষেপের জন্ম দিয়েছিল।
ওই আক্ষেপ কিছুটা ঘুচেছিল ২০১২ সালে একটি ২৬ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের যাত্রার মধ্য দিয়ে। তার আগে সার্জারি বিভাগে এক কোনায় পোড়া রোগীদের এর জন্য কেবল কয়েকটি শয্যা বরাদ্দ ছিল।
১০ বছর বয়সী স্বতন্ত্র বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটটি সাধ্যমতো সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু রোগী থাকে প্রায় সব সময় শয্যার দ্বিগুণ। আর জাহাজ ভাঙা কারখানার দুর্ঘটনা কিংবা কোনো কারখানায় আগুন লাগলে সংকট স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শয্যা সংকটের পাশাপাশি এই বিভাগটির বড় সমস্যা নিজস্ব নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) না থাকা। যা পোড়া রোগীদের জন্য খুবই জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ বললেন, ‘আমাদের ইউনিটে সংকটাপন্ন রোগী রাখতে পারি না। আইসিইউ দরকার হলে সমস্যায় পড়ে যাই। হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউ সব সময় ব্যস্ত থাকে। তাই অনেক রোগী ঢাকায় চলে যায়। কিন্তু যাত্রাপথের এই সময়টা রোগীদের জন্য খুবই কঠিন।’
এই ইউনিটের পুরোনো চিকিৎসকেরাও মনে করতে পারেন কেটিএস দুর্ঘটনার সময়কার পরিস্থিতির কথা। সংকটকালের কথা তাঁদের মনে গেঁথে রয়েছে। এখন পরিস্থিতি তখনকার চেয়ে ভালো হলেও সংকট কাটেনি। তা আরেকবার প্রমাণ হলো সীতাকুণ্ডের বি এম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার পর।
নতুন করে আক্ষেপ করছেন চিকিৎসকেরা। একটি ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল সবকিছু তৈরি থাকা সত্ত্বেও করতে না পারার আক্ষেপ। শুধুমাত্র একটি জায়গা বরাদ্দের অভাবে বারবার পিছিয়ে পড়ছে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল প্রকল্প।
ছয় বছর আগে চীনের সহায়তায় চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নেওয়া হলেও চাহিদামত জায়গা দিতে না পারায় তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে ছয় বছর পর ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন হাসপাতাল’ প্রকল্পের জন্য গত মাসে বিকল্প হিসেবে আরও চারটি জায়গার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই জায়গাগুলো দেখতে চট্টগ্রামে একটি প্রতিনিধি দলও আসার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনো হয়ে ওঠেনি।
এর আগে গত বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকায় দুটি জায়গা দেখে যান। যা পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু দেখে যাওয়া জায়গাগুলো নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি থাকায় সেটিও বাতিল করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন নতুন চারটি জায়গার প্রস্তাবের বিষয়টি অবগত রয়েছেন। জানা গেছে, নতুন করে পাঠানো চারটি স্থান হলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগান এলাকা, কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের পাশের খালি জায়গা, মিজান হোস্টেলের উত্তরের খালি জায়গা ও অক্সিজেন প্ল্যান্টের পাশের খালি জায়গা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শনে আসে চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। পরিদর্শনে তারা হাসপাতালের বর্তমান বার্ন ইউনিটের পেছনের খালি জায়গায় বিশেষায়িত এ ইউনিট করার কথা জানালে তখন সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এর পর ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে সম্মতির কথা জানানো হয়। পরে হাসপাতালের নকশাও তৈরি করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয়বার এসে পরিমাপ করে জায়গা কম পাওয়ায় এ নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এখন আবার নতুন করে নতুন জায়গা দেখার কথা উঠেছে।
আজ সোমবার সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল বি এম ডিপোর দগ্ধ রোগীদের দেখতে চট্টগ্রাম আসছে। তিনি প্রায় এক দশক ধরে চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামন্ত লাল সেন কিছুদিন আগে বলেছেন, জায়গার অভাবে কেন একটা বার্ন হাসপাতাল হবে না? এটা দুঃখজনক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আগেও হয়েছে। সংকট এসেছে। সংকট মোকাবিলা করেছে প্রাণের বিনিময়ে। চিকিৎসক নার্সদের নিরলস চেষ্টা ছিল। কিন্তু হাসপাতালের ক্ষমতা সুযোগ-সুবিধা ছিল না অতটা। তাই ২০০৬ সালে চট্টগ্রামের কেটিএস অ্যাপারেলসে অগ্নিকাণ্ডে ৬৫ শ্রমিক মারা গিয়েছিল।
পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো ইউনিট তখনো গড়ে ওঠেনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর আগেও এ রকম ছোট বড় অগ্নি দুর্ঘটনা চট্টগ্রামে বহুবার ঘটেছে। প্রতিবারই একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিটের জন্য হাপিত্যেশ করে চিকিৎসক ও সেবাগ্রহণকারীরা। ২০০৬ সালেও এ রকম আক্ষেপের জন্ম দিয়েছিল।
ওই আক্ষেপ কিছুটা ঘুচেছিল ২০১২ সালে একটি ২৬ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের যাত্রার মধ্য দিয়ে। তার আগে সার্জারি বিভাগে এক কোনায় পোড়া রোগীদের এর জন্য কেবল কয়েকটি শয্যা বরাদ্দ ছিল।
১০ বছর বয়সী স্বতন্ত্র বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটটি সাধ্যমতো সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু রোগী থাকে প্রায় সব সময় শয্যার দ্বিগুণ। আর জাহাজ ভাঙা কারখানার দুর্ঘটনা কিংবা কোনো কারখানায় আগুন লাগলে সংকট স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শয্যা সংকটের পাশাপাশি এই বিভাগটির বড় সমস্যা নিজস্ব নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) না থাকা। যা পোড়া রোগীদের জন্য খুবই জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ বললেন, ‘আমাদের ইউনিটে সংকটাপন্ন রোগী রাখতে পারি না। আইসিইউ দরকার হলে সমস্যায় পড়ে যাই। হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউ সব সময় ব্যস্ত থাকে। তাই অনেক রোগী ঢাকায় চলে যায়। কিন্তু যাত্রাপথের এই সময়টা রোগীদের জন্য খুবই কঠিন।’
এই ইউনিটের পুরোনো চিকিৎসকেরাও মনে করতে পারেন কেটিএস দুর্ঘটনার সময়কার পরিস্থিতির কথা। সংকটকালের কথা তাঁদের মনে গেঁথে রয়েছে। এখন পরিস্থিতি তখনকার চেয়ে ভালো হলেও সংকট কাটেনি। তা আরেকবার প্রমাণ হলো সীতাকুণ্ডের বি এম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার পর।
নতুন করে আক্ষেপ করছেন চিকিৎসকেরা। একটি ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল সবকিছু তৈরি থাকা সত্ত্বেও করতে না পারার আক্ষেপ। শুধুমাত্র একটি জায়গা বরাদ্দের অভাবে বারবার পিছিয়ে পড়ছে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল প্রকল্প।
ছয় বছর আগে চীনের সহায়তায় চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নেওয়া হলেও চাহিদামত জায়গা দিতে না পারায় তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে ছয় বছর পর ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন হাসপাতাল’ প্রকল্পের জন্য গত মাসে বিকল্প হিসেবে আরও চারটি জায়গার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই জায়গাগুলো দেখতে চট্টগ্রামে একটি প্রতিনিধি দলও আসার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনো হয়ে ওঠেনি।
এর আগে গত বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকায় দুটি জায়গা দেখে যান। যা পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু দেখে যাওয়া জায়গাগুলো নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি থাকায় সেটিও বাতিল করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন নতুন চারটি জায়গার প্রস্তাবের বিষয়টি অবগত রয়েছেন। জানা গেছে, নতুন করে পাঠানো চারটি স্থান হলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগান এলাকা, কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের পাশের খালি জায়গা, মিজান হোস্টেলের উত্তরের খালি জায়গা ও অক্সিজেন প্ল্যান্টের পাশের খালি জায়গা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শনে আসে চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। পরিদর্শনে তারা হাসপাতালের বর্তমান বার্ন ইউনিটের পেছনের খালি জায়গায় বিশেষায়িত এ ইউনিট করার কথা জানালে তখন সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এর পর ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে সম্মতির কথা জানানো হয়। পরে হাসপাতালের নকশাও তৈরি করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয়বার এসে পরিমাপ করে জায়গা কম পাওয়ায় এ নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এখন আবার নতুন করে নতুন জায়গা দেখার কথা উঠেছে।
আজ সোমবার সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল বি এম ডিপোর দগ্ধ রোগীদের দেখতে চট্টগ্রাম আসছে। তিনি প্রায় এক দশক ধরে চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামন্ত লাল সেন কিছুদিন আগে বলেছেন, জায়গার অভাবে কেন একটা বার্ন হাসপাতাল হবে না? এটা দুঃখজনক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আগেও হয়েছে। সংকট এসেছে। সংকট মোকাবিলা করেছে প্রাণের বিনিময়ে। চিকিৎসক নার্সদের নিরলস চেষ্টা ছিল। কিন্তু হাসপাতালের ক্ষমতা সুযোগ-সুবিধা ছিল না অতটা। তাই ২০০৬ সালে চট্টগ্রামের কেটিএস অ্যাপারেলসে অগ্নিকাণ্ডে ৬৫ শ্রমিক মারা গিয়েছিল।
পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো ইউনিট তখনো গড়ে ওঠেনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর আগেও এ রকম ছোট বড় অগ্নি দুর্ঘটনা চট্টগ্রামে বহুবার ঘটেছে। প্রতিবারই একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিটের জন্য হাপিত্যেশ করে চিকিৎসক ও সেবাগ্রহণকারীরা। ২০০৬ সালেও এ রকম আক্ষেপের জন্ম দিয়েছিল।
ওই আক্ষেপ কিছুটা ঘুচেছিল ২০১২ সালে একটি ২৬ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের যাত্রার মধ্য দিয়ে। তার আগে সার্জারি বিভাগে এক কোনায় পোড়া রোগীদের এর জন্য কেবল কয়েকটি শয্যা বরাদ্দ ছিল।
১০ বছর বয়সী স্বতন্ত্র বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটটি সাধ্যমতো সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু রোগী থাকে প্রায় সব সময় শয্যার দ্বিগুণ। আর জাহাজ ভাঙা কারখানার দুর্ঘটনা কিংবা কোনো কারখানায় আগুন লাগলে সংকট স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শয্যা সংকটের পাশাপাশি এই বিভাগটির বড় সমস্যা নিজস্ব নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) না থাকা। যা পোড়া রোগীদের জন্য খুবই জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ বললেন, ‘আমাদের ইউনিটে সংকটাপন্ন রোগী রাখতে পারি না। আইসিইউ দরকার হলে সমস্যায় পড়ে যাই। হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউ সব সময় ব্যস্ত থাকে। তাই অনেক রোগী ঢাকায় চলে যায়। কিন্তু যাত্রাপথের এই সময়টা রোগীদের জন্য খুবই কঠিন।’
এই ইউনিটের পুরোনো চিকিৎসকেরাও মনে করতে পারেন কেটিএস দুর্ঘটনার সময়কার পরিস্থিতির কথা। সংকটকালের কথা তাঁদের মনে গেঁথে রয়েছে। এখন পরিস্থিতি তখনকার চেয়ে ভালো হলেও সংকট কাটেনি। তা আরেকবার প্রমাণ হলো সীতাকুণ্ডের বি এম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার পর।
নতুন করে আক্ষেপ করছেন চিকিৎসকেরা। একটি ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল সবকিছু তৈরি থাকা সত্ত্বেও করতে না পারার আক্ষেপ। শুধুমাত্র একটি জায়গা বরাদ্দের অভাবে বারবার পিছিয়ে পড়ছে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল প্রকল্প।
ছয় বছর আগে চীনের সহায়তায় চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নেওয়া হলেও চাহিদামত জায়গা দিতে না পারায় তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে ছয় বছর পর ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন হাসপাতাল’ প্রকল্পের জন্য গত মাসে বিকল্প হিসেবে আরও চারটি জায়গার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই জায়গাগুলো দেখতে চট্টগ্রামে একটি প্রতিনিধি দলও আসার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনো হয়ে ওঠেনি।
এর আগে গত বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকায় দুটি জায়গা দেখে যান। যা পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু দেখে যাওয়া জায়গাগুলো নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি থাকায় সেটিও বাতিল করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন নতুন চারটি জায়গার প্রস্তাবের বিষয়টি অবগত রয়েছেন। জানা গেছে, নতুন করে পাঠানো চারটি স্থান হলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগান এলাকা, কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের পাশের খালি জায়গা, মিজান হোস্টেলের উত্তরের খালি জায়গা ও অক্সিজেন প্ল্যান্টের পাশের খালি জায়গা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শনে আসে চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। পরিদর্শনে তারা হাসপাতালের বর্তমান বার্ন ইউনিটের পেছনের খালি জায়গায় বিশেষায়িত এ ইউনিট করার কথা জানালে তখন সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এর পর ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে সম্মতির কথা জানানো হয়। পরে হাসপাতালের নকশাও তৈরি করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয়বার এসে পরিমাপ করে জায়গা কম পাওয়ায় এ নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এখন আবার নতুন করে নতুন জায়গা দেখার কথা উঠেছে।
আজ সোমবার সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল বি এম ডিপোর দগ্ধ রোগীদের দেখতে চট্টগ্রাম আসছে। তিনি প্রায় এক দশক ধরে চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামন্ত লাল সেন কিছুদিন আগে বলেছেন, জায়গার অভাবে কেন একটা বার্ন হাসপাতাল হবে না? এটা দুঃখজনক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আগেও হয়েছে। সংকট এসেছে। সংকট মোকাবিলা করেছে প্রাণের বিনিময়ে। চিকিৎসক নার্সদের নিরলস চেষ্টা ছিল। কিন্তু হাসপাতালের ক্ষমতা সুযোগ-সুবিধা ছিল না অতটা। তাই ২০০৬ সালে চট্টগ্রামের কেটিএস অ্যাপারেলসে অগ্নিকাণ্ডে ৬৫ শ্রমিক মারা গিয়েছিল।
পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো ইউনিট তখনো গড়ে ওঠেনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর আগেও এ রকম ছোট বড় অগ্নি দুর্ঘটনা চট্টগ্রামে বহুবার ঘটেছে। প্রতিবারই একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিটের জন্য হাপিত্যেশ করে চিকিৎসক ও সেবাগ্রহণকারীরা। ২০০৬ সালেও এ রকম আক্ষেপের জন্ম দিয়েছিল।
ওই আক্ষেপ কিছুটা ঘুচেছিল ২০১২ সালে একটি ২৬ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের যাত্রার মধ্য দিয়ে। তার আগে সার্জারি বিভাগে এক কোনায় পোড়া রোগীদের এর জন্য কেবল কয়েকটি শয্যা বরাদ্দ ছিল।
১০ বছর বয়সী স্বতন্ত্র বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটটি সাধ্যমতো সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু রোগী থাকে প্রায় সব সময় শয্যার দ্বিগুণ। আর জাহাজ ভাঙা কারখানার দুর্ঘটনা কিংবা কোনো কারখানায় আগুন লাগলে সংকট স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শয্যা সংকটের পাশাপাশি এই বিভাগটির বড় সমস্যা নিজস্ব নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) না থাকা। যা পোড়া রোগীদের জন্য খুবই জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ বললেন, ‘আমাদের ইউনিটে সংকটাপন্ন রোগী রাখতে পারি না। আইসিইউ দরকার হলে সমস্যায় পড়ে যাই। হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউ সব সময় ব্যস্ত থাকে। তাই অনেক রোগী ঢাকায় চলে যায়। কিন্তু যাত্রাপথের এই সময়টা রোগীদের জন্য খুবই কঠিন।’
এই ইউনিটের পুরোনো চিকিৎসকেরাও মনে করতে পারেন কেটিএস দুর্ঘটনার সময়কার পরিস্থিতির কথা। সংকটকালের কথা তাঁদের মনে গেঁথে রয়েছে। এখন পরিস্থিতি তখনকার চেয়ে ভালো হলেও সংকট কাটেনি। তা আরেকবার প্রমাণ হলো সীতাকুণ্ডের বি এম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার পর।
নতুন করে আক্ষেপ করছেন চিকিৎসকেরা। একটি ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল সবকিছু তৈরি থাকা সত্ত্বেও করতে না পারার আক্ষেপ। শুধুমাত্র একটি জায়গা বরাদ্দের অভাবে বারবার পিছিয়ে পড়ছে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল প্রকল্প।
ছয় বছর আগে চীনের সহায়তায় চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নেওয়া হলেও চাহিদামত জায়গা দিতে না পারায় তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে ছয় বছর পর ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন হাসপাতাল’ প্রকল্পের জন্য গত মাসে বিকল্প হিসেবে আরও চারটি জায়গার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই জায়গাগুলো দেখতে চট্টগ্রামে একটি প্রতিনিধি দলও আসার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনো হয়ে ওঠেনি।
এর আগে গত বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকায় দুটি জায়গা দেখে যান। যা পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু দেখে যাওয়া জায়গাগুলো নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি থাকায় সেটিও বাতিল করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন নতুন চারটি জায়গার প্রস্তাবের বিষয়টি অবগত রয়েছেন। জানা গেছে, নতুন করে পাঠানো চারটি স্থান হলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগান এলাকা, কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের পাশের খালি জায়গা, মিজান হোস্টেলের উত্তরের খালি জায়গা ও অক্সিজেন প্ল্যান্টের পাশের খালি জায়গা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শনে আসে চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। পরিদর্শনে তারা হাসপাতালের বর্তমান বার্ন ইউনিটের পেছনের খালি জায়গায় বিশেষায়িত এ ইউনিট করার কথা জানালে তখন সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এর পর ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে সম্মতির কথা জানানো হয়। পরে হাসপাতালের নকশাও তৈরি করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয়বার এসে পরিমাপ করে জায়গা কম পাওয়ায় এ নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এখন আবার নতুন করে নতুন জায়গা দেখার কথা উঠেছে।
আজ সোমবার সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল বি এম ডিপোর দগ্ধ রোগীদের দেখতে চট্টগ্রাম আসছে। তিনি প্রায় এক দশক ধরে চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামন্ত লাল সেন কিছুদিন আগে বলেছেন, জায়গার অভাবে কেন একটা বার্ন হাসপাতাল হবে না? এটা দুঃখজনক।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আগেও হয়েছে। সংকট এসেছে। সংকট মোকাবিলা করেছে প্রাণের বিনিময়ে। চিকিৎসক নার্সদের নিরলস চেষ্টা ছিল। কিন্তু হাসপাতালের ক্ষমতা সুযোগ-সুবিধা ছিল না অতটা। তাই ২০০৬ সালে চট্টগ্রামের কেটিএস অ্যাপারেলসে অগ্নিকাণ্ডে ৬৫ শ্রমিক মারা গিয়েছিল।
পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার মতো কোনো ইউনিট তখনো গড়ে ওঠেনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এর আগেও এ রকম ছোট বড় অগ্নি দুর্ঘটনা চট্টগ্রামে বহুবার ঘটেছে। প্রতিবারই একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিটের জন্য হাপিত্যেশ করে চিকিৎসক ও সেবাগ্রহণকারীরা। ২০০৬ সালেও এ রকম আক্ষেপের জন্ম দিয়েছিল।
ওই আক্ষেপ কিছুটা ঘুচেছিল ২০১২ সালে একটি ২৬ শয্যার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের যাত্রার মধ্য দিয়ে। তার আগে সার্জারি বিভাগে এক কোনায় পোড়া রোগীদের এর জন্য কেবল কয়েকটি শয্যা বরাদ্দ ছিল।
১০ বছর বয়সী স্বতন্ত্র বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটটি সাধ্যমতো সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু রোগী থাকে প্রায় সব সময় শয্যার দ্বিগুণ। আর জাহাজ ভাঙা কারখানার দুর্ঘটনা কিংবা কোনো কারখানায় আগুন লাগলে সংকট স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শয্যা সংকটের পাশাপাশি এই বিভাগটির বড় সমস্যা নিজস্ব নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) না থাকা। যা পোড়া রোগীদের জন্য খুবই জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ বললেন, ‘আমাদের ইউনিটে সংকটাপন্ন রোগী রাখতে পারি না। আইসিইউ দরকার হলে সমস্যায় পড়ে যাই। হাসপাতালের জেনারেল আইসিইউ সব সময় ব্যস্ত থাকে। তাই অনেক রোগী ঢাকায় চলে যায়। কিন্তু যাত্রাপথের এই সময়টা রোগীদের জন্য খুবই কঠিন।’
এই ইউনিটের পুরোনো চিকিৎসকেরাও মনে করতে পারেন কেটিএস দুর্ঘটনার সময়কার পরিস্থিতির কথা। সংকটকালের কথা তাঁদের মনে গেঁথে রয়েছে। এখন পরিস্থিতি তখনকার চেয়ে ভালো হলেও সংকট কাটেনি। তা আরেকবার প্রমাণ হলো সীতাকুণ্ডের বি এম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনার পর।
নতুন করে আক্ষেপ করছেন চিকিৎসকেরা। একটি ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল সবকিছু তৈরি থাকা সত্ত্বেও করতে না পারার আক্ষেপ। শুধুমাত্র একটি জায়গা বরাদ্দের অভাবে বারবার পিছিয়ে পড়ছে চট্টগ্রামের বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল প্রকল্প।
ছয় বছর আগে চীনের সহায়তায় চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নেওয়া হলেও চাহিদামত জায়গা দিতে না পারায় তা আলোর মুখ দেখেনি। তবে ছয় বছর পর ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন হাসপাতাল’ প্রকল্পের জন্য গত মাসে বিকল্প হিসেবে আরও চারটি জায়গার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেই জায়গাগুলো দেখতে চট্টগ্রামে একটি প্রতিনিধি দলও আসার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনো হয়ে ওঠেনি।
এর আগে গত বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি দল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকায় দুটি জায়গা দেখে যান। যা পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু দেখে যাওয়া জায়গাগুলো নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি থাকায় সেটিও বাতিল করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন নতুন চারটি জায়গার প্রস্তাবের বিষয়টি অবগত রয়েছেন। জানা গেছে, নতুন করে পাঠানো চারটি স্থান হলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগান এলাকা, কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের পাশের খালি জায়গা, মিজান হোস্টেলের উত্তরের খালি জায়গা ও অক্সিজেন প্ল্যান্টের পাশের খালি জায়গা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শনে আসে চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। পরিদর্শনে তারা হাসপাতালের বর্তমান বার্ন ইউনিটের পেছনের খালি জায়গায় বিশেষায়িত এ ইউনিট করার কথা জানালে তখন সম্মতি দেওয়া হয়েছিল। এর পর ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে সম্মতির কথা জানানো হয়। পরে হাসপাতালের নকশাও তৈরি করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয়বার এসে পরিমাপ করে জায়গা কম পাওয়ায় এ নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এখন আবার নতুন করে নতুন জায়গা দেখার কথা উঠেছে।
আজ সোমবার সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল বি এম ডিপোর দগ্ধ রোগীদের দেখতে চট্টগ্রাম আসছে। তিনি প্রায় এক দশক ধরে চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ বার্ন হাসপাতালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামন্ত লাল সেন কিছুদিন আগে বলেছেন, জায়গার অভাবে কেন একটা বার্ন হাসপাতাল হবে না? এটা দুঃখজনক।