বেলারুশের নেতা লুকাশেংকোর মধ্যস্থতায় ক্রেমলিন এবং ওয়াগনার গ্রুপের মধ্যে আপাতত আপোস হলেও রাশিয়ার পরিস্থিতি বেশ ঘোলাটে। ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জেনারেলদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করার পর রাশিয়ায় যেসব শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনা ঘটেছে তা কয়েক দিন আগেও ছিল অকল্পনীয়।
সংকট আপাতত কেটে গেলেও রাশিয়ার সর্বক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট পুতিনকে যেন হঠাৎ করে বেশ দুর্বল এবং নাজুক বলে মনে হচ্ছে। কিছু কিছু বিশ্লেষক ইতোমধ্যে বলতে শুরু করেছেন, পুতিনের শাসন কতটা নড়বড়ে অবস্থায় আছে, রাশিয়ার এই বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে তা উন্মোচিত হয়েছে।
বিদ্রোহ শুরুর পর গত শনিবার সকালে প্রেসিডেন্ট পুতিন জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে ভাষণ দেন। সেইসময় তার মুখের অভিব্যক্তি ছিল বেশ কঠোর, গুরুগম্ভীর। তাকে ওয়াগনার গ্রুপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায়।
তবে এরপর আকস্মিক সমঝোতার ঘোষণার পর অবশ্য পুতিনকে এখনো প্রকাশ্য দেখা যায়নি। এ নিয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। তবে শনিবার লুকাশেংকোর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিন ফোনে কথা বলেছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ পরিষেবা বেল্টার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া রোববার সকালে পুতিনের সঙ্গে ফোনে আবার কথা বলেছেন লুকাশেংকো। তবে তাদের মধ্যে কী নিয়ে কথা হয়েছে- তা বিস্তারিত জানা যায়নি। এদিকে ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার ব্রিদোহের পর মস্কো থেকে দুইটি রাষ্ট্রপতির বিমান উড্ডয়ন করেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গতকাল রোববার সিবিএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ওয়াগনার গ্রুপের এ বিদ্রোহ প্রসিডেন্ট পুতিনের শাসনের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ এবং এতে গভীর প্রশ্ন জেগে উঠেছে।