বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আবারও এক হাত নিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।ফখরুলের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, ‘সংবিধানের বিধান ছাড়া কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে?’
শনিবার (৭ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘বাস্তবতা বিবর্জিত অর্বাচীন বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একটি চিহ্নিত মহল অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় বসার স্বপ্নে বিভোর। তারা দেশের পবিত্র সংবিধান ও আইনের তোয়াক্কা করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেনিয়াদের কাছে দেশের স্বার্থ বিক্রি করে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলের নির্বাচন বাংলার মাটিতে জনগণ তা আর কোনোদিন হতে দেবে না।’
‘রাজনৈতিক বাস্তবতা উপলব্ধি না করে ক্রমাগতভাবে কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপি নেতারা’
– ওবায়দুল কাদের
সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগ
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি সবসময় ভিন্ন উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণার রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যে অঙ্গীকার করে তা বাস্তবায়ন করে। সে কারণে জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তি ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণ।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্ব ও ব্যর্থ রাজনৈতিক দল বিএনপির মুখে প্রবল আন্দোলনের কথা মানায় না। তাদের তথাকথিত লাগাতার আন্দোলন, কঠোর আন্দোলন, এক দফার দুর্বার আন্দোলন; সবকিছু ব্যর্থ হওয়ার পরও তারা ক্ষমতা দখলে উন্নত ও মরিয়া। সেই কারণে বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক বাস্তবতা উপলব্ধি না করে ক্রমাগতভাবে কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড দত্তপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান বিদেশে বসে লাগাতার দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বাস না রেখে উসকানির মাধ্যমে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’