শরীর সুস্থ রাখতে মৌসুমি ফল ও অনেক শাকসবজি কাঁচা খাওয়াই স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেন অনেকে। তবে প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার থাকে যেসব কাঁচা খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যেমন-অনেকেই সালাদে কাঁচা টমেটো খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু টমেটোয় থাকা গ্লিকোলক্যালিওডস কাঁচা অবস্থায় খেলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার কিছু খাবার আছে যা কাঁচা না খাওয়াই ভাল। পুষ্টিবিদদের মতে, এমন অনেক শাকসবজি আছে যেগুলি রান্না করা হলে তার পুষ্টিগুণ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। যেমন-
পালংশাক: শরীরের জন্য এই শাক দারুণ উপকারী। এতে ভরপুর মাত্রায় আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম ও জিঙ্ক থাকে। অনেক সময়ে সালাদে বা বিভিন্ন রান্নায় হালকা সিদ্ধ করা পালংশাক ব্যবহার করা হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, এই শাক যত রান্না রান্না করা হয় এর পুষ্টিগুণ ততই বাড়বে। এই শাকে থাকা অক্সালিক অ্যাসিড শরীরে আয়রন ও ক্যালশিয়াম শোষণে বাধা দেয়। বেশি ক্ষণ ধরে রান্না করলে এই যৌগ ভেঙ্গে যায়, ফলে শরীর পুষ্টিগুণগুলি বেশি মাত্রায় শোষণ করতে পারে।
টমেটো: এই সবজি রান্না করলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট লাইকোপিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই যৌগ শরীরে গেলে হৃদ্রোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। তাই সালাদে কাঁচা টমেটো খাওয়ার চেয়ে রান্না করে খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর।গাজর: অনেকেই কাঁচা গাজর খেতে পছন্দ করেন। পুষ্টিবিদদের মতে, কাঁচা গাজরের তুলনায় রান্না করা গাজরে বিটা ক্যারোটিনের মাত্রা বেশি থাকে। এই যৌগ শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তৈরি করে। ভিটামিন এ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, চোখ ও হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে উপকারী। রান্না করা গাজরে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মান দ্বিগুণ বেড়ে যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, সিদ্ধ করা গাজরের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি।
ক্যাপসিকাম: অনেকেই ক্যাপসিকাম হালকা কাঁচা খেতে পছন্দ করেন। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, ক্যাপসিকামে থাকা ক্যারোটিনয়েডের কারণে তার পুষ্টিগুণগুলি শরীরে পৌঁছয় না, বাধা পায়। তাপ পেলে ক্যারোটিনয়েড ভেঙ্গে যায়। তখন শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় পুষ্টি পৌঁছায়।