আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সেমিফাইনালে হজম করা পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে ক্রোয়েশিয়ায়। দলটির কোচ জ্লাতকো দালিচ এবং অধিনায়ক লুকা মডরিচ ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেই ক্ষোভের ঝড় বয়ে দেন। পেনাল্টির সিদ্ধান্তকে ‘জঘন্য’ আখ্যায়িত করে তোপ দাগিয়েছেন রেফারিকে। দেশটির গণমাধ্যমেও ক্ষোভের আগুন বইছে। ক্রোয়েশিয়ার কোচ-অধিনায়কের অভিযোগকে সমর্থন জানালেন বিশ্বখ্যাত দুই গোলরক্ষকও। স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস এবং বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া, দুজনেই এক সুরে বলেছেন, এটা পেনাল্টি ছিল না।
পরশু রাতে প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচে প্রথম গোলটি আর্জেন্টিনা পেয়েছে পেনাল্টি থেকে। ৩১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন লিওনেল মেসি। কেন এটা পেনাল্টি নয়, তার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেছেন ২০০২ জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপের রেফারির দায়িত্ব পালন করা মেক্সিকান রেফারি ফেলিপে রামোস রিজো। যিনি আবার খেলোয়াড়ি জীবনে এক জন গোলরক্ষক ছিলেন। তিনি পরশুর ম্যাচের ঐ সংঘর্ষের নানা অ্যাঙ্গেলের ছবি বিশ্লেষণ করে পেনাল্টি নয় বলেই দাবি করেছেন। টুইটারে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, দ্রুতগতিতে আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেজের সঙ্গে ক্রোয়াট গোলরক্ষক লিভাকোভিচের সংঘর্ষের আগেই বল পেছনে চলে গেছে, তাছাড়া মুখোমুখি সংঘর্ষের সময় লিভাকোভিচের পা মাটিতেই ছিল। ফেলিপে রামোস রিজোরের ব্যাখ্যা এবং দাবিকে সমর্থন জানিয়ে রিটুইট করেছেন থিবো কুর্তোয়া ও ইকার ক্যাসিয়াস। দুজনেই বলেছেন, ‘সহমত পোষণ করছি।’