আব্বাস-মস্তান পরিচালিত ‘খিলাড়ি’ মুক্তি পায় ১৯৯২ সালে। অক্ষয়কুমারের জীবনের দ্বিতীয় ছবি এটি। এই সিনেমায় অভিনয় করার পর থেকেই রাতারাতি জনপ্রিয়তা পান অক্ষয়। তার পর থেকেই বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। তবে বলিপাড়ায় অক্ষয়ের ‘খিলাড়ি’ তকমা আজও অটুট। কিন্তু অক্ষয়ের নাকি ‘খিলাড়ি’তে অভিনয় করার কথাই ছিল না। প্রথমে প্রস্তাব গিয়েছিল সলমন খানের ভাই আরবাজ খানের কাছে। নিজেই সে কথা জানিয়েছেন আরবাজ।
অক্ষয় এবং আরবাজ প্রায় একই সময়ে বলিউডে কাজ শুরু করেন। অক্ষয় তত দিনে ‘সৌগন্ধ’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আরবাজ তখনও পর্দায় আসেননি। তবে কাজের কথাবার্তা চলছিল। সেই সময় নাকি ‘খিলাড়ি’র প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। তবে সেই প্রস্তাব ফেরান আরবাজ। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে আরবাজ বলেন, ‘‘আমি ‘খিলাড়ি’র প্রস্তাব ফেরাতে বাধ্য হই। তখন আমার অন্য একটি ছবির সই করা হয়ে গিয়েছিল।’’
আরবাজ বলেন, ‘খিলাড়ি’তে অভিনয় করার জন্য তাঁকে এক লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। আরবাজের হাত ঘুরে প্রস্তাব যায় অক্ষয়ের কাছে। ‘খিলাড়ি’তে অভিনয় না করলেও আরবাজের জীবনের প্রথম কাজ আব্বাস মস্তানের পরিচালনাতেই। কারণ, পরিচালক নাকি আরবাজের সঙ্গে কাজ করতে চাইছিলেন। কিন্তু কোনও ভাবে সেটা হচ্ছিল না। অবশেষে ‘দরার’-এ আরবাজ এবং আব্বাস নায়ক-পরিচালক হিসাবে জুটি বাঁধেন। জুহি চাওলার বিপরীতে ‘দরার’ আরবাজের প্রথম সিনেমা। সেই সিনেমায় একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ঋষি কপূর।