খুলনায় ২২টি অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সময় লাইসেন্স ও আবেদন না থাকায় নগরীর চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া ৯ উপজেলার ১৮টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে কাগজপত্র নিয়ে সিভিল সার্জন দপ্তরে দেখা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানান, কোন লাইসেন্স বা আবেদন না থাকায় মহানগরীর শান্তিধাম মোড়ের ‘শান্তিধাম ল্যাবকেয়ার’ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শামছুর রহমান রোডে ‘ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’, ‘এক্সপার্ট শ্যাম্পল ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ এবং টুটপাড়া তালতলা এলাকার ‘সুর্যের হাসি নেটওয়ার্ক ডায়গনস্টিক সেন্টার’ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, খুলনা শহরেই মোট ২৬২টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৬৮টি ক্লিনিকের বৈধ অনুমোদন থাকলেও বাকিগুলোর কোনো সরকারি অনুমোদন নেই। নগরীতে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই নিজস্ব ডাক্তার। রিপোর্ট দিচ্ছে নার্স ও টেকনেশিয়ানরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ডা: মো: মঞ্জুরুল মুর্শিদ বলেন, মহানগরীসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অবৈধভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক পরিচালিত হয়ে আসছে। তারা রাতারতি অলিগলির মধ্যে গড়ে তুলছে এ সব ক্লিনিক। অবৈধ ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার কোনভাবেই চলতে দেওয়া হবে না।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, জেলার ৯ উপজেলায় সোমবার সকাল থেকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মোট ১৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের দ্রুত বৈধ কাগজপত্র নিয়ে সিভিল সার্জন দপ্তরে হাজির হতে বলা হয়েছে। যদি কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় তাহলে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।