ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপে ১০ কোটি গাছের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে কৃষকরা শুধু আর্থিকভাবেই লাভবান হচ্ছেন না সেই সঙ্গে সেখানে বন্যার তীব্রতা রুখতে এ গাছগুলো ভুমিকা রাখবে। গাছ লাগানোর বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য কৃষক পাসিহানের কাছে যান মোনালিসা পুত্রি কাহারাপ। তিনি ১০ কোটি গাছ লাগানোর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংগঠন ফেয়ারভেঞ্চার্সের প্রতিনিধি। পাসিহান বনায়ন প্রকল্পে প্রায় এক বছর ধরে কাজ করছেন। এরইমধ্যে কয়েকশত সেগুন গাছ লাগিয়েছেন তিনি। সেগুন খুব দ্রুত বড় হয়। জমিতে গাছ থাকলে মাটি বৃষ্টির পানি সুষে নেয়। এতে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমে। খবর ডয়সে ভেলের।
মোনালিসা বলেন, ‘‘এগারো মাসে পায় ৫ থেকে ৬ মিটার লম্বা হয়। এ কারণে এ গাছ আমাদের পছন্দ। তারা যত বড় হয়, তত মাটিতে পুষ্টি যোগ হয়, উর্বরতা বাড়ে। আর এতে চাষীরা ক্ষেতে যে কোন গাছ লাগানোর সুযোগ পায়। এটা দ্রুত বড় হয় এবং ভাবুন, মধ্য কালিমানতানে লাখ লাখ গাছ কতটা কার্বন শুষে নেয়।’’
পাসিহান বলেন, ‘এখন বছরে তিন থেকে চারবার বন্যা হয়। আগে একবার বন্যা হতো বছরে। এখন মৌসুম যা-ই হোক, বন্যা হবেই। আমি মনে করি, এটা খনির প্রভাব। বন উজাড় করা হয়েছে। তাই মাটি আর পানি শোষণ করে না। যখন অনেক বৃষ্টি হয়, তখন বন্যা হয়।’
বেশি করে গাছ লাগালে বন্যার প্রভাব কমবে। এই অঞ্চলে এরই মধ্যে কোটি খানেক নতুন গাছ লাগানো হয়েছে। এর কিছু কেটে কাঠ হিসেবে বিক্রি করা হবে এবং সেগুলোর জায়গায় নতুন গাছ লাগানো হবে। আইডিয়া হলো বোর্নিওতে ব্যবসা আকৃষ্ট করে চাষীদের সাহায্য করা।
মোনালিসার ভাষায়, ‘ইন্দোনেশিয়ায় কাঠ শিল্প এখনো জাভাকেন্দ্রিক। আমরা এই শিল্পোদ্যোক্তাদের কালিমানতানে বিনিয়োগ করার আহ্বান করছি। অথবা চাষীদের এই শিল্পে সরাসরি যুক্ত হতে সাহায্য করছি, যেন কোনো মধ্যসত্ত্বভোগী না থাকে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে আমরা চাষীদের সর্বোচ্চ লাভের সুযোগ করে দিতে চাইছি।’ চাষী লিঙ্গা কাসান খুবই আশাবাদী। তিনি আশা করেন যে, ১০ কোটি গাছের উদ্যোগ ভবিষ্যতে তার জীবন পালটে দেবে, একইসঙ্গে পরিবেশকেও সাহায্য করবে।