ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। জবাবে তেল আবিবে রকেট ছুড়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলা সবচেয়ে তীব্র ছিল। ইসরায়েলের সীমানা বেড়ার ওপার থেকে কমলা রঙের বিস্ফোরণ ও কালো ধোঁয়া দেখা গেছে। এ সময় কয়েক সেকেন্ড পরপর বজ্রের মতো করে বিমান হামলা চালানোর আওয়াজ শোনা গেছে।
ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবেও বিমান হামলার সাইরেন বেজেছে। ইসরায়েলের ম্যাগেন ডেভিড অ্যালম অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি হামলার পয়েন্ট রয়েছে তবে হতাহতের বিষয়ে প্রাথমিক কোনও তথ্য নেই।
হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে হামলা করেছে। কিন্তু কায়রোতে সংগঠনের নেতা যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য গিয়েছেন। এর মধ্যে এ ধরনের হামলা এই কূটনীতিক বার্তাই বহন করে যে, ১০ সপ্তাহের হামলায় গাজার বেশিরভাগ অঞ্চল ধ্বংস করলেও হামসকে এখনও নির্মূল করতে পারেনি ইসরায়েল। তারা ব্যর্থ হয়েছে।
প্রতিশোধের ভয়ে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে জাবালিয়ার একজন বাসিন্দা বলেন, ‘দখলদারদের বোমা হামলার দিক থেকে এটি ছিল সবচেয়ে খারাপ রাতগুলোর মধ্যে একটি। এছাড়াও আমরা প্রচণ্ড যুদ্ধের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম।’
গাজার যোগাযোগ সংযোগ দ্বিতীয় দিনের জন্য বন্ধ থাকায় বাসিন্দা একটি ইলেকট্রনিক সিম কার্ড ব্যবহার করে ইসরায়েলি মোবাইল নেটওয়ার্ক দিয়ে ফোনে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছেন। গাজাবাসীরা বলছেন, যোগাযোগের সংযোগ এভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়া মানে সাধারণত ইসরায়েলি হামলার সূত্রপাত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৃহস্পতিবার বলেছে, উত্তর গাজার শেষ হাসপাতালটি গত দুই দিনে পুরোপুরি কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আহতদের নেওয়ার জন্য কোন জায়গা অবশিষ্ট নেই।