বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিলো ব্রাজিল। এরপর গত মার্চে মরক্কোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মাঠে নেমেও দেখতে হয়েছে হারের মুখই। অবশেষে জয়ের দেখা পেলো ব্রাজিল, গিনির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ৪-১ গোলে বড় জয়ই পেয়েছে সেলেসাওরা।
ম্যাচটি ব্রাজিল খেলতে নেমেছিলো কিছুদিন আগেই ভিনিসিয়াস জুনিয়রের প্রতি বর্ণবাদী আচরণের প্রতিবাদ হিসেবে। বর্ণবাদ বিরোধী প্রচারণার অংশ হিসেবেই ব্রাজিল এদিন প্রথমার্ধে কালো জার্সি পরে খেলতে নাম। নিজেদের ইতিহাসে এই প্রথমবার কালো মার্সিতে মাঠে নামে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
স্পেনের বার্সেলোনার করনেলা এল প্রাতে গিনির বিপক্ষে এই ম্যাচে ৪-১ গোলের বড় জয়েরই দেখা পেয়েছেন অন্তবর্তীকালীন কোচ মেনেজেসের শিষ্যরা। প্রথমার্ধে ২ গোলে লিড নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের ২ গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের।
ঐতিহ্যবাহী হলুদ জার্সির পরিবর্তে কালো জার্সি পরে খেলতে নামা ব্রাজিলকে দেখতে যেমন অপরিচিত লাগছিলো, শুরু থেকে মাঠের খেলাও ছিলো না ঠিক ব্রাজিলসুলভ। ব্রাজিলের তুলনায় আক্রমণের ধার বেশি ছিল আফ্রিকার দেশ গিনিরই। ব্রাজিলের খেলায় ছিলো অনেকটা ছন্নছাড়া ভাব।
খেলার ধারার বিপরীতেই ম্যাচের ২৬ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে পাওয়া বলে ব্রাজিলকে ম্যাচের প্রথম গোল এনে দেন জোয়েলিংটন। ব্রাজিলের জার্সিতে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই গোল পেলেন এই মিডফিল্ডার। মিনিট চারেক পরই ডানপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে ব্রাজিলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন রদ্রিগো।
দুই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ব্রাজিলের জালে গোল দিয়ে বসে গিনি। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক আক্রমণ থেকে গিনির হয়ে একটি গোল শোধ করেন সেরহৌ গুইরাসি। ২-১ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের চিরাচরিত হলুদ জার্সি গায়ে মাঠে নামে ব্রাজিল। আর ঐতিহ্যের সেই হলুদ জার্সিতেই যেন নিজেদের চেনা ছন্দও ফিরে পায় সেলেসাওরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠে ব্রাজিল।
ম্যাচের ৪৭ মিনিটে গিনির জালে তৃত্রীয়বার বল জড়ান
র সেন্টার ব্যাক এডার মিলিতাও। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক খেলেও আর গোলের দেখা পাচ্ছিলো না ব্রাজিল। অবশেষে গোল আসে নেইমারের অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে ব্রাজিলের ১০ নম্বর জার্সি গায়ে মাঠে নামা ভিনিসিয়াসের পা থেকে।
ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গিনির ডি-বক্সে ব্রুনো গুইমারেসকে ফাউল করলে পেনাল্টি দনে রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে ৪-১ গোলে দলের জয় নিশ্চিত করেন ভিনিসিয়াস।