গতকাল শনিবার গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য সংখ্যা এক কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে।বিশ্বের কোনো বিশ্বের কোনো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে এককভাবে এত সদস্য নেই।২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক যখন নোবেল পুরস্কার পায়,তখন এর সদস্য ছিল ৬৯ লাখ।
আজ রোববার রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.একেএম সাইফুল মজিদ এসব তথ্য জানান।প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.আব্দুর রহিম খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।পর্ষদের চেয়ারম্যান বলেন,কেউ কেউ বলেছিলেন,অধ্যাপক ইউনূস ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংক চলবে না।ড.ইউনূসের প্রভাব বলয় থেকে বেরিয়ে এসে গ্রামীণ ব্যাংক সাফল্যের নবদিগন্তে উপনীত হয়েছে।২০১১ সালের পর ড.ইউনূস কোনোভাবেই গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।২০২০ সালে করোনার মধ্যেও সর্বোচ্চ ৪৮১ কোটি টাকা মুনাফার রেকর্ড করে গ্রামীণ ব্যাংক প্রমাণ করেছে,ড.ইউনূস ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি ভালো চলতে পারে।বর্তমানে অর্জনের উচ্চ শিখরে অবস্থান করছে গ্রামীণ ব্যাংক।
ব্যাংকটির এমডি বলেন,২০১১ সালে ড.ইউনূস বিদায় নেওয়ার পর অনেকেই ধারণা করেছিলেন,গ্রামীণ ব্যাংক ভালোভাবে চলবে না।কিন্ত সে ধারণা সঠিক ছিল না।গ্রামীণ ব্যাংক এখন আগের চেয়ে অনেক ভাল চলছে।২০২২ সালে গুরুত্বপূর্ণ সব সূচকে অগ্রগতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,এমডি পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর ড.ইউনূসের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো সম্পর্ক নেই।তার নামে এ প্রতিষ্ঠানে কোনো শেয়ার নেই।গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনায় তার কোনোরকম সম্পৃক্ততাও নেই।