প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সুবিধা বাড়ছে। বাড়ছে এজেন্ট শাখার গ্রাহক সংখ্যাও। একইসঙ্গে এই শাখাগুলোতে বাড়ছে আমানত ও ঋণের পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার ৩৭৮ জন। গত বছরের জুনে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৩৫৮ জন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে এজেন্ট শাখাগুলোতে গ্রাহক বেড়েছে ৩৮ লাখ ৬৯ হাজার। আর গত তিন মাসে বেড়েছে ৮ লাখ ৮১ হাজারের বেশি। বুধবার (২৪ আগস্ট) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২২ সালের জুন প্রান্তিকের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৮৬৭ জন নারী এজেন্টগুলোর মাধ্যমে ব্যাংকের গ্রাহক হয়েছেন। একইসময়ে ৭৯ লাখ ৭১ হাজার ৫০১ জন পুরুষ এজেন্টগুলোর মাধ্যমে ব্যাংকের গ্রাহক হয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুরুষ গ্রাহকদের হিসাব রয়েছে ৪৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং নারী গ্রাহকদের হিসাব রয়েছে ৪৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় খোলা হিসাবগুলোর প্রায় ৮৬ দশমিক ৪১ শতাংশই গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকদের। বাকি ১৪ শতাংশ হিসাব শহর এলাকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুনে এজেন্ট শাখাগুলোতে আমানত ছিল ২০ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে আমানত হিসেবে জমা হয়েছে ২৮ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। এই হিসাবে এক বছরে আমানত বেড়েছে ৭ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী আমানতের পাশাপাশি ঋণ বিতরণও বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে ৭ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জুন শেষে ৩ হাজার ১৮৬ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ৪ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। এছাড়া জুন পর্যন্ত সময়ে এজেন্টের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৭ হাজার ৪৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি মানুষ আমানত রেখেছেন বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংকে। আর সবচেয়ে বেশি মানুষ ঋণ নিয়েছেন বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক থেকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি মানুষ ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখাগুলোতে আমানত রেখেছে। যা ১০ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। যা মোট আমানতের ৩৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। এছাড়া রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এনেছে এই ব্যাংকটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মোট রেমিট্যান্সের ৫২ দশমিক ৮১ শতাংশ এসেছে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখাগুলোর মাধ্যমে। অর্থাৎ চলতি বছরের জুন শেষে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখাগুলোতে ৫১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এদিকে চলতি বছরের জুন শেষে এজেন্ট শাখাগুলোর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৭ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ হাজার ৭৮ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৬২ দশমিক ৬২ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এজেন্ট ব্যাংক এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতদিন গ্রামীণ পর্যায়ে যারা ব্যাংকিং সেবার বাইরে ছিল তাদের এজেন্ট শাখাগুলোর মাধ্যমে ব্যাংকের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামীণ পর্যায়ের মানুষেরা এখন এজেন্ট শাখাগুলো থেকেই ব্যাংকের সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন। বিদেশে থাকা আত্মীয়দের পাঠানো রেমিট্যান্স পাচ্ছেন। অল্প সময়ের মধ্যে ঋণ পাচ্ছেন। টাকা জমা রাখতে পারছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ মানুষদের ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অ্যাকাউন্ট, ঋণ, আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত যেসব এলাকায় ব্যাংকের কোনও শাখা নেই বা শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা অধিক ব্যয়বহুল ও লাভজনক নয়, সেসব এলাকায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতেই এই সেবা চালু করা হয়।
ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা জানান, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হিসাব খোলা, টাকা জমা ও উত্তোলন, টাকা স্থানান্তর (দেশের ভেতর), রেমিট্যান্স উত্তোলন, বিভিন্ন মেয়াদি আমানত প্রকল্প চালু, ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল পরিশোধ, বিভিন্ন প্রকার ঋণ উত্তোলন ও পরিশোধ এবং সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সরকারি সব প্রকার ভর্তুকি গ্রহণ করা যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়-সাশ্রয়ী হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এজেন্ট ব্যাংকিং। এ সেবায় গ্রাহক এজেন্ট আউটলেটে সহজেই তার বায়োমেট্রিক বা হাতের আঙুলের স্পর্শে হিসাব পরিচালনা করতে পারছেন। ফলে কম খরচে সহজে ব্যাংকিং সেবা পাওয়ায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গ্রামীণ সুবিধা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে এজেন্ট ব্যাংকিং চালুর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা রাখতে এই ব্যাংক বড় ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমানে ৩০টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ১৪ হাজার ২৯৯টি এজেন্টের আওতায় ১৯ হাজার ৭৩৭টি আউটলেটের মাধ্যমে এ সেবা দিচ্ছে। যদিও ২০২১ সালের জুন শেষে আউটলেট ছিল ১৭ হাজার ১৪৭টি। এই হিসাবে এক বছরে ব্যাংকগুলোর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বেড়েছে ২ হাজার ৫৯০টি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ মোট আউটলেটের ৩০ শতাংশ আউটলেট রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের। ব্যাংকটির আউটলেটের সংখ্যা এখন ৫৯২৭টি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে ব্যাংক এশিয়ার। এই ব্যাংকটিতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৫৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৮০টি।
জানা গেছে, বিশ্বের প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয় ব্রাজিলে। আর বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয় ২০১৪ সালে। এর আগে ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংক এশিয়া পাইলট প্রকল্প হিসেবে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সুবিধা বাড়ছে। বাড়ছে এজেন্ট শাখার গ্রাহক সংখ্যাও। একইসঙ্গে এই শাখাগুলোতে বাড়ছে আমানত ও ঋণের পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার ৩৭৮ জন। গত বছরের জুনে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৩৫৮ জন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে এজেন্ট শাখাগুলোতে গ্রাহক বেড়েছে ৩৮ লাখ ৬৯ হাজার। আর গত তিন মাসে বেড়েছে ৮ লাখ ৮১ হাজারের বেশি। বুধবার (২৪ আগস্ট) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২২ সালের জুন প্রান্তিকের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৮৬৭ জন নারী এজেন্টগুলোর মাধ্যমে ব্যাংকের গ্রাহক হয়েছেন। একইসময়ে ৭৯ লাখ ৭১ হাজার ৫০১ জন পুরুষ এজেন্টগুলোর মাধ্যমে ব্যাংকের গ্রাহক হয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুরুষ গ্রাহকদের হিসাব রয়েছে ৪৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং নারী গ্রাহকদের হিসাব রয়েছে ৪৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় খোলা হিসাবগুলোর প্রায় ৮৬ দশমিক ৪১ শতাংশই গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকদের। বাকি ১৪ শতাংশ হিসাব শহর এলাকার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুনে এজেন্ট শাখাগুলোতে আমানত ছিল ২০ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে আমানত হিসেবে জমা হয়েছে ২৮ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। এই হিসাবে এক বছরে আমানত বেড়েছে ৭ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী আমানতের পাশাপাশি ঋণ বিতরণও বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে ৭ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের জুন শেষে ৩ হাজার ১৮৬ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ৪ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা। এছাড়া জুন পর্যন্ত সময়ে এজেন্টের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৭ হাজার ৪৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি মানুষ আমানত রেখেছেন বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংকে। আর সবচেয়ে বেশি মানুষ ঋণ নিয়েছেন বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক থেকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি মানুষ ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখাগুলোতে আমানত রেখেছে। যা ১০ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। যা মোট আমানতের ৩৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। এছাড়া রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এনেছে এই ব্যাংকটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মোট রেমিট্যান্সের ৫২ দশমিক ৮১ শতাংশ এসেছে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখাগুলোর মাধ্যমে। অর্থাৎ চলতি বছরের জুন শেষে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখাগুলোতে ৫১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এদিকে চলতি বছরের জুন শেষে এজেন্ট শাখাগুলোর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৭ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪ হাজার ৭৮ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৬২ দশমিক ৬২ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এজেন্ট ব্যাংক এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতদিন গ্রামীণ পর্যায়ে যারা ব্যাংকিং সেবার বাইরে ছিল তাদের এজেন্ট শাখাগুলোর মাধ্যমে ব্যাংকের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামীণ পর্যায়ের মানুষেরা এখন এজেন্ট শাখাগুলো থেকেই ব্যাংকের সব ধরনের সেবা পাচ্ছেন। বিদেশে থাকা আত্মীয়দের পাঠানো রেমিট্যান্স পাচ্ছেন। অল্প সময়ের মধ্যে ঋণ পাচ্ছেন। টাকা জমা রাখতে পারছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ মানুষদের ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অ্যাকাউন্ট, ঋণ, আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত যেসব এলাকায় ব্যাংকের কোনও শাখা নেই বা শাখার মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা অধিক ব্যয়বহুল ও লাভজনক নয়, সেসব এলাকায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতেই এই সেবা চালু করা হয়।
ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা জানান, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হিসাব খোলা, টাকা জমা ও উত্তোলন, টাকা স্থানান্তর (দেশের ভেতর), রেমিট্যান্স উত্তোলন, বিভিন্ন মেয়াদি আমানত প্রকল্প চালু, ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল পরিশোধ, বিভিন্ন প্রকার ঋণ উত্তোলন ও পরিশোধ এবং সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সরকারি সব প্রকার ভর্তুকি গ্রহণ করা যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয়-সাশ্রয়ী হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এজেন্ট ব্যাংকিং। এ সেবায় গ্রাহক এজেন্ট আউটলেটে সহজেই তার বায়োমেট্রিক বা হাতের আঙুলের স্পর্শে হিসাব পরিচালনা করতে পারছেন। ফলে কম খরচে সহজে ব্যাংকিং সেবা পাওয়ায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গ্রামীণ সুবিধা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে এজেন্ট ব্যাংকিং চালুর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা রাখতে এই ব্যাংক বড় ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমানে ৩০টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ১৪ হাজার ২৯৯টি এজেন্টের আওতায় ১৯ হাজার ৭৩৭টি আউটলেটের মাধ্যমে এ সেবা দিচ্ছে। যদিও ২০২১ সালের জুন শেষে আউটলেট ছিল ১৭ হাজার ১৪৭টি। এই হিসাবে এক বছরে ব্যাংকগুলোর এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট বেড়েছে ২ হাজার ৫৯০টি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ মোট আউটলেটের ৩০ শতাংশ আউটলেট রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের। ব্যাংকটির আউটলেটের সংখ্যা এখন ৫৯২৭টি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে ব্যাংক এশিয়ার। এই ব্যাংকটিতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৫৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৮০টি।
জানা গেছে, বিশ্বের প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয় ব্রাজিলে। আর বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয় ২০১৪ সালে। এর আগে ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংক এশিয়া পাইলট প্রকল্প হিসেবে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে।