খুলনায় অজ্ঞাত (৩৫) এক নারীর মাথাবিহীন বাক্সবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খণ্ডিত মাথাটি খাটের ওপর বাক্সবন্দী লাশের পাশে পলিথিনে মোড়ানো ছিল।
রোববার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পুলিশ নগরীর কেডিএ এভিনিউয়ের গোবরচাকা এলাকার একটি বাসা থেকে তার খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের শরীর থেকে মাথাটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতের কোনো এক সময় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ঘাতক আবু বকর মোল্লা ও তার স্ত্রী একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স স্বপ্না খাতুন পলাতক রয়েছেন।
বাড়ির মালিক রাজু আহমেদ জানান, গত সাড়ে তিন বছর ধরে আবু বকর মোল্লা স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকে নিয়ে তার বাসায় ভাড়া থাকেন। সে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার ভাগা গ্রামের জাকির মোল্লার ছেলে। নগরীর স্টেশন রোডের একটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিতে কাজ করেন তিনি।
সোনাডাঙ্গা থানার এসআই রোহিত বিশ্বাস জানান, রোববার বেলা ১১টার দিকে খবর পেয়ে গোবরচাকা এলাকার একটি বাসা থেকে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নারীর খণ্ডিত মাথাটি খাটের ওপর বাক্সবন্দি লাশের পাশে একটি পলিথিনে মোড়ানো ছিল। ঘটনার পর থেকে ঘাতক আবু বকর মোল্লা ও তার স্ত্রী নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স স্বপ্না খাতুন পলাতক রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোনাডাঙ্গা থানার অপর একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত নারী একজন দেহপসারিনি। শনিবার রাতে স্ত্রী স্বপ্না খাতুন তার কর্মস্থলে যাওয়ার পর আবু বকর ঐ নারীকে বাসায় নিয়ে এসেছিলেন। আবু বকরের স্ত্রী বাসায় ফেরার পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সোনালী সেন জানান, রোববার সকালে আবু বকর কর্মস্থলে না যাওয়ায় সহকর্মীরা তার মোবাইল ফোনে ফোন দেয়। ফোনটি বন্ধ পাওয়ায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার সহকর্মীরা তাকে খুঁজতে বাসায় যায়। বাসাটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে এক পর্যায়ে তারা জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে বিছানার ওপর একটি বাক্স ও বিছানার আশপাশে রক্ত দেখে বাড়িওয়ালাকে জানায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পলিথিনে মোড়ানো এক নারীর খণ্ডিত মাথা ও একটি কাঠের বাক্সের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিনসহ হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হবে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।