২০১৩ সালে প্রথম যেদিন আমেরিকায় আসি সেদিনের দর্শন শিক্ষা আমাকে স্বাধীনচেতা হতে শিখিয়েছে। ছোট বোনের বাসায় ঢুকে লাইট জ্বালাতে গিয়ে দেখি সুইচ নিচের দিকে নামানো। বললাম বাল্বটা বদলে দে, লাইট মনে হয় খারাপ হয়ে গেছে। সে বলল ভাইয়া উপরের দিকে দেন, দেখলাম জ্বলে উঠল। আফসোস করে বললাম, তোদের দেশের টেকনিশিয়ানরা এতই অদক্ষ? একটা লাইটের সুইচ উল্টো লাগিয়ে চলে গেছে! পাশ থেকে বোনের স্বামী বলল, ভাই এটা রেভ্যুলেশন। সে আমাকে বিষয়টা ব্যাখ্যা করে জানালো। ব্রিটিশরা লাইটের সুইচ নিচের দিকে অন করে। তাই স্বাধীনতা পাবার পর আমেরিকানরা উপরের দিকে লাইটের সুইচ অন করে। ব্রিটিশরা রাস্তার বাম পাশে গাড়ি চালায়, তাই আমেরিকানরা রাস্তার ডান পাশে গাড়ি চালায়। আমি প্রথমত কিছুটা আশ্চর্য হলেও পরে শিখে নিলাম স্বাধীনতার মানে হচ্ছে তুমি চিন্তা, চেতনা, ধ্যান ধারনায়, মননশীলতায়, শিক্ষা সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রে স্বাধীন হতে হবে। অনুকরন করতে করতে এমন বাজে গোলামের অভ্যেস আমাদের হয়েছে যে, শ্রীলংকার মতো করে তোমাদের লুটপাট, ভাংচুর করতে হবে। আর বুনো উল্লাসে মেতে উঠতে হবে! মনে রেখো, তোমরা স্বাধীন দেশের স্বৈরাচার হটিয়েছো। তার মানে এই নয় যে তোমরা ৭১সালের মুক্তি যুদ্ধের সাথে তুলনা করবে। যেনে রেখো, কিছু সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা আজও বেঁচে আছে, তোমাদের এমন তুলনামূলক বিবৃতি তাদের হৃদয়কে ক্ষত বিক্ষত করবে। ২০২৪ সালে তোমরা ক্যামেরা মিডিয়া টেলিকমিউনিকেশন পেয়েছো। তারা রাতের আঁধারে বিভৎস মৃত্যুকে জয় করে পতাকা দিয়েছে তোমাদের। আজও এই বিজয়ে তোমরা সেই পতাকা গায়ে জড়িয়েছ। পাগলের আচরণ বন্ধ কর তোমরা। তোমরা শিক্ষিত ও জ্ঞানীর পরিচয় বহন করো। আমরা তোমাদের মাঝেই আমাদের স্বপ্ন বুনি। ভাল রাখো তোমরা এই সোনা মা বাংলাদেশ কে, সুস্থ থেকো তোমরা। ঘুরে দাঁড়াও॥