চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় সপ্তাহব্যাপী ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা, ভয়াবহ জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ি ঢলের পানি কমতে শুরু করেছে। কোনো কোনো এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। তবে এখনো পানির নিচে প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। কোথাও সড়ক, মহাসড়ক, কাঁচা রাস্তা, আবার কোথাও কালভার্ট ভেঙে নিশ্চিহ্ন হয়েছে। চারদিকে ক্ষতবিক্ষত কংকালসার দৃশ্যপট। বীজতলা, ফসলের মাঠ, মাছের ঘের, বেড়িবাঁধ, ঘর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ড হয়েছে। বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। আংশিক ও সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা দেবে গেছে। ফাটল হয়েছে অনেক স্থানে। এসব এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতে প্লাবিত চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচ জেলার রোপা আমন ও বীজতলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মহাসড়ক থেকে অনেকস্থানে বন্যার পানি নামলেও, বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও লোকালয় এখনও তলিয়ে আছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নতুন নির্মিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন। নির্মানাধীন রেলপথের অনেকাংশ ভেসে গেছে। স্থানে স্থানে পানিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মীয়মাণ রেলপথ। জুলাই পর্যন্ত ৮৮ শতাংশ কাজ শেষ হওয়া এই রেলপথটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়ার কথা আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে রেলপথটি পরিকল্পনা অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করা নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের সংশয়।
চকরিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার, লামা, বান্দরবান, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গতকাল স্বাভাবিক হয়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল। চন্দনাইশ উপজেলার কসাইপাড়া পাঠানিপুল এলাকায় দীর্ঘ এক কিলোমিটার সড়ক ডুবে যাওয়ায় মঙ্গলবার ভোর থেকে এই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শহর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। এছাড়া বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ আংশিক স্বাভাবিক হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের পানি নামতে শুরু করায় জনদুর্ভোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, জেলা প্রশাসন বিভিন্ন এলাকায় বানভাসিদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও খিচুড়ি বিতরণ করেছে। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। খাগড়াছড়ির সঙ্গে পর্যটন কেন্দ্র সাজেকের যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। অনেকেই সাজেকে আটকা পড়েছেন। এদিকে গতকাল বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সরদার উদয় রায়হান জানান,আগামী দুইদিন চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস নেই, নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। আমরা আশা করছি, দু-তিনদিনের মধ্যেই বন্যার পানি অনেক নেমে যাবে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তত্সংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে এই সময়ে এ অঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সারি, গোয়াইন, ঝালুখালি, ভোপাই-কংস, সোমেশ্বরী ও যাদুকাটা নদ-নদীর পানি সময়বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ভারতের গঙ্গা নদীর পানিও বাড়ছে, যা আরও তিন দিন বাড়তে থাকবে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামীকাল শনিবার থেকে বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।
চট্টগ্রাম: টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি নামছে ও জলাবদ্ধতা কমছে। চট্টগ্রামের রাউজান, হাটহাজারী, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলা, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির বেশকিছু এলাকা পানির নিচে ডুবে আছে। প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, পাহাড় ধস ও ঢলে বান্দরবানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা চলছে।
কক্সবাজারে ১৪ জনের মৃত্যু: কক্সবাজার সংবাদদাতা জানান, অবশেষে বন্ধ হয়েছে বৃষ্টিপাত। ফলে নদীতে কমে এসেছে বৃষ্টি ও বানের জল। পানি কমছে চকরিয়া-পেকুয়ার ১৯ইউনিয়ন ও রামুসহ অন্য প্লাবিত নিম্নাঞ্চল থেকে। পানি নামার সাথে সাথে ভেসে উঠছে মহাসড়ক, উপ-সড়ক, কাঁচা রাস্তা ও বাঁধের ক্ষতচিহ্ন। কালভার্ট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেক এলাকা। ঢল আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়া গ্রামীণ জনপদে নষ্ট হয়েছে কৃষকের বীজতলা, ফসলের মাঠ, মাছের ঘের ও বেড়িবাঁধ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ক্ষতির মুখে পড়েছে রেললাইন। বৃষ্টিতে পাহাড় ধস, সেপটি ট্যাংক পরিস্কার করতে গিয়ে, সাপের কামড় আর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে শিশুসহ ১৪ জনের। পানি নামার পর আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ঘরে ফেরা মানুষগুলো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে পড়েছে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই ত্রাণ দূর্গতদের কাছে পৌঁছেনি বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। চারদিন পর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে। এদিকে, আজ শুক্রবার সকালে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় ৬০ ইউনিয়নে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৩ জন বন্যার কবলে পড়েন। সে সময় চকরিয়া এবং পেকুয়া উপজেলায় ১৬২টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নেন।
পেকুয়ার ইউএনও পূর্বিতা চাকমা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বলেন, বুধবার বিকালে তিন শিশু সাহেবখালী খালের পাশে তাদের ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ওই খালে তাদের মরদেহ ভেসে ওঠে। চকরিয়া থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বদরখালীর ভেরুয়াখালীর নতুন বাজারের পাশে মো. জিশানের মরদেহ এবং দুপুরে চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের মহেশখালী খালে অর্ধগলিত আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে, কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ডুবে থাকা পুরো এলাকা থেকে ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে পানি। এর সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট, কালভার্ট, কৃষকের নষ্ট বীজতলা আর ফসলের মাঠের ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। লক্ষ্যারচরের আব্দুল গফুর জানান, চারদিন ৪-৫ ফুট পানিতে বন্দিছিলাম। আমার চাষের সবকিছু ধ্বংস হয়েছে।
রাঙ্গামাটি: জেলার চার উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে। বৃষ্টিপাত কমায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, রাজস্থলী ও বরকল উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে আস্তে আস্তে পানি সরে যাচ্ছে। দুর্গত মানুষেরা আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। বন্যায় ১০ উপজেলায় ৩ হাজার ১৩৫ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম): ভারী বর্ষণ ও ঢলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ তিন জন প্রাণ হারিয়েছেন। তারা হলেন— বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র জুনায়েদুল ইসলাম জারিফ (২০), আসহাব উদ্দিন মিয়া (৬০) ও কৃষক আবদুল মাবুদ (৫০)। তিনজনেরই বাড়ি উপজেলার আসিরাবাদ ইউনিয়নে। এদিকে, মোহাম্মদ সাকিব নামে এক কলেজছাত্র এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের প্রায় সব গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ও বহু মাটির ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাজী শফিউল ইসলাম বলেন, বর্ষণ ও ঢলে উপজেলার ১৭০ হেক্টর আউশ ও ৩ হাজার ৭শত ৫৩ হেক্টর আমন চাষ ও ৩৫৯ হেক্টর আমন বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও খরিপ-২ এর ২১৫ হেক্টর সবজি চাষ, হেক্টর পেঁপে বাগান ১৩ হেক্টর পানের বরজ পানিতে তলিয়ে গেছে।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে দ্রুতগতিতে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনা অভ্যন্তরে চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে, তলিয়ে যেতে শুরু করেছে জমিজমা সহ বসতবাড়ি। এদিকে নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে জেলার ৫ উপজেলার যমুনা অভ্যন্তরের চরাঞ্চলের গ্রামগুলো। ফসলের মাঠ তলিয়ে বসতবাড়িতেও পানি উঠছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এলাকার মানুষ।
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর: গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুর সংযোগ সড়ক পানির স্রোতে হুমকির মুখে পড়েছে। মুল সেতু থেকে প্রায় ১৫০ ফুট দুরে সংযোগ সড়কের তলদেশে নদীর পানির স্রোতে সড়কের পিচ, খোয়া, মাটি সরে গিয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম): উপজেলার অধিকাংশ এলাকার প্রায় সব রাস্তা ঘাটই পানির নিচে। বহু ঘরবাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় সীমাহীন কষ্টে পড়েছেন এলাকার মানুষ। রাস্তার উপর হাঁটু পানি কোথাও কোমর সমান পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি সহকারী প্রকৌশলী ধীমান সরকার জানিয়েছেন তারা পটিয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ খাল খনন ও বাঁধ নির্মাণ বাবদ ১১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানিয়েছেন, পাউবোর প্রকল্প তাদের কোনো কাজেই আসেনি।
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম): টানা বৃষ্টিতে বন্যার পানিতে ডুবে যায় বিভিন্ন বিলের কয়েক হাজার একর জমির রোপা আমন। ছয়দিন পর বন্যার পানি নামতে শুরু হলে ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। দীর্ঘ সময় ধরে পানিতে ডুবে থাকায় গুমাই বিলের নিম্মাঞ্চলে দেড় হাজার একরের রোপা আমন নষ্ট হয়েছে। বন্যার পানির স্রোতে চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান এলাকায় চট্টগ্রাম – কাপ্তাই মহাসড়কের অর্ধ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নতুন নির্মিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলা কয়েক দিন ধরে বন্যায় ডুবে আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতকানিয়া উপজেলা। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর ঢেমশা, দক্ষিণ ঢেমশাসহ স্থানে স্থানে ২০ থেকে ৫০ মিটার করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের বড় একটি অংশ পানিতে ডুবেছে। নির্মাণকাজ চলমান থাকায় বন্যার পানিতে পেভমেন্টের মাটি সরে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এখনো ১২ কিলোমিটার রেলপথ ট্র্যাক বসানো হয়নি। বিশেষত স্টেশন এলাকাগুলোয় ট্র্যাক বসানোর কাজ শেষ করা যায়নি।
আগামীকাল থেকে বাড়বে বৃষ্টি, উত্তর-পুর্বাঞ্চলের নদ-নদী বিপদসীমার ওপরে: আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে,আগামীকাল শনিবার থেকে বৃষ্টির তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপত্সীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে নীলফামারীর তিস্তাপাড়ে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।ঢাকায় শ্রাবণের প্রথম ভাগে বৃষ্টির দেখা না মিললেও শেষ ভাগে এসে প্রায় প্রতিদিন দেখা মিলছে বৃষ্টির। গতকাল সকাল থেকে রোদ ও গরম থাকলেও বিকেলে আকাশ কালো হয়ে নামে অঝোর ধারায় বৃষ্টি। ঢাকা ছাড়া সারাদেশেই এদিন কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে।