ভারতে চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ সাকিব আল হাসানরা, অন্যদিকে শ্রীলঙ্কায় স্বাগতিকদের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল, ঠিক এই সময়ই চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ঘরের মাঠে এই সংস্করণে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয় এটি। সব মিলিয়ে তৃতীয়। এর আগে কুয়ালালামপুরে ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ ও চীনে গত মাসে এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানকে হারায় বাংলাদেশ।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। এতে আগে ব্যাট করতে নেমে নাহিদার ঘূর্ণিতে ১৯.৪ ওভারে ৮২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। রান তাড়া করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে দেখে শুনে শুরু করার চেষ্টা করে সফরকারী দলের দুই ওপেনার মুনেবা আলি ও সিদরা আমিন। তবে উইকেটে তারা থিতু হওয়ার আগেই হামলা চালান নাহিদা আকতার। এরপরই শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল। উইকেটে আর কেউই থিতু হতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২০ রান আসে অভিজ্ঞ বিসমাহ মারুফের ব্যাট থেকে। তিনি রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে এরপর পাকিস্তানি মেয়েরা আর থিতু হতে পারেননি।
এ ছাড়া মুনিবা ১৬, নাতালিয়া ১৫ ও অধিনায়ক নিদা দার ১৪ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে ৩.৪ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে নাহিদা একাই নেন ৫ উইকেট। নাহিদার এটি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে ১২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ছিল তার ঝুলিতে। দ্বিতীয় বারের মতো নেন ফাইফার। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন সুলতানা খাতুন, রাবেয়া খান এবং স্বর্ণা আক্তার।
পাকিস্তানের দেওয়া মামুলি রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ১২ রানেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ৫ রানে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার শামীমা সুলতানা। এর পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে কয়েকটি উইকেট হারালেও বিপদ হয়নি। এক প্রান্তে আগলে রেখে দারুণ খেলে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন জ্যোতি। ২৮ বলে ৩ চারে ২৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। জ্যোতির সঙ্গে ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন রিতু মণি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে মুর্শিদা খাতুন।
তবে তার ইনিংসটি ছিল ধীরগতির। ৪০ বলে এই ইনিংস খেলেন তিনি। এ ছাড়া ১৬ রান আসে সোবহানা মোস্তারির ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ডায়না বেগ, নাশরা সান্ধু ও উম্মে হানি।